‘সাংবাদিক দেখলেই নাকি সাতক্ষীরার তালার পুলিশের সার্কেল এসপি হুমায়ুন কবিরের চুলকায়’!

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংবাদিক পরিচয় পেলেই হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার তালার পুলিশের সার্কেল এসপি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। রবিবার সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ-দেবহাটার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আহসানুর রহমান রাজিব, কালিগঞ্জ রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ কাউসার তুহিনসহ একাধিক সাংবাদিক এবং রাস্তায় চলাচলকারী শতাধিক মানুষের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি।

যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আহসানুর রহমান রাজিব তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন ‘‘তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পুলিশের সার্কেল এসপি হুমায়ুন কবির। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে তিনি আজ সাংবাদিকদের নতুন আইন শেখালেন। নির্বাচন কমিশন থেকে সাংবাদিকদের জন্য (স্টিকার) অনুমতি দেওয়া ৫সিটের গাড়িতে একজনের বেশি চড়তে পারবেন না! আজ সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিনি আমাদের মুল্যবান ৩০ মিনিট সময় নষ্ট করে সেই আইন শিখিয়েছেন। পরবর্তীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তার কাছ থেকে মুক্তি মেলে। বিষয়টি জেলা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকতার নিকট জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, কিছুদিন আগে লকডাউন চলাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে আসা অসহায় খেঁটে খাওয়া এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তিনি সাংবাদিক দেখলেই ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করেন। আজ নির্বাচনের শুরু থেকেই বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বেছে বেছে সাংবাদিকদের সাথে বেপরোয়া আচরণ করেন এই সহকারী পুলিশ কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে থাকা পুলিশের সদস্যরা বিব্রত। তার সমস্যার বিষয়ে জানতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, সাংবাদিক দেখলেই তার নাকি চুলকানি হয়! যাই হোক, তার আচরণ দেখে আমার মনে হয়েছে তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন। রাষ্ট্রের এমন গুরুত্বপুর্ণ পদে তার এই মুহূর্তে দায়িত্বে থাকা কতটা নিরাপদ?’’
এ বিষয়ে যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আহসানুর রহমান রাজিব বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় ৪৫ মিনিটে ধলবাড়িয়া মোড়ে নির্বাচন কমিশনের পাশকৃত প্রাইভেটকার নিয়ে পেশাগত পালনকালে তালার পুলিশের সার্কেল এসপি হুমায়ুন কবির আমাকে আটকে বলেন গাড়ীতে একজন থাকতে পারবেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর আরও ক্ষেপে যান। সাতক্ষীরায় কয়েক হাজার সাংবাদিক তাদের সবাইকে কি চিনে রাখবো। বৈধ স্টিকার দেখালেও তিনি বলেন, একজনের বেশি থাকতে পারবেন না, বলে আধাঘন্টার বেশি সময় তিনি ওই স্থানে আমাদের আটকে রাখেন। কয়েকশ’ মানুষের মাঝে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাজে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ছেড়ে দেন।

 

 

রাজিব আরও বলেন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছি। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে কালিগঞ্জ রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ কাউসার তুহিন বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকেও ধলবাড়িয়া মোড়ে আমার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন। এসময় সাংবাদিক পরিচয় পেলে আর ক্ষেপে গিয়ে বাজে আচরণ করতে থাকেন। ভোটের দিন মোটারসাইকেলে বের হয়েছি কেন সেজন্য অপমান করতে থাকেন। তখন আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনার বিষয়টি জানালে। তিনি বলতে থাকেন আপনি ‘স

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।