কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপি’র ভোট পুনরায় গননার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী

আয়ুব হাসান, কালিগঞ্জ:- ভোট গননায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গননার দাবি জানিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জি এম রবিউল্যাহ বাহার। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ২১ অনুষ্ঠিত হওয়ায় কালিগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।

নির্বাচন শেষে ভোট গননার সময় এবং পরে অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারগণসহ কতিপয় কর্মকর্তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গিয়ে সুকৌশলে ভয়ানক অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। নির্বাচনী এলাকার কৃষান মজদুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের নিয়োগকৃত পোলিং এজেন্টদের ঘোড়া এবং লাঙ্গল প্রতীকের ভোটের ব্যালটের বান্ডেলের পরিমান সমান সমান থাকলেও পরবর্তীতে হঠাৎ করে লাঙ্গল প্রতীকের বান্ডেল বেশি এবং ঘোড়ার কম দেখা গেলে নিয়োগকৃত এজেন্ট বান্ডেল চেকিং করার অনুরোধ করলে প্রিজাইডিং অফিসার চেকিং করতে আপত্তি জানান এবং বার বার বলা স্বত্বেও তিনি ব্যালটের ব্যান্ডেল চেকের অনুমতি না দিয়ে দ্রুত বস্তাবন্দি করেন।

এছাড়া আস্ফালন করে বলেন, “আমার কাছ থেকে ব্যলটের বান্ডেল চেক করার ক্ষমতা কার আছে?। কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড নাম দক্ষিণ রঘুনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের আমাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে অন্য বুথে/ কক্ষে ভোট গননা করে আমাকে জোর পূর্বক ভোট গননার বিবরনীতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। বিভিন্ন কৌশলে এজেন্টদের বের করে দিয়ে ২ ঘন্টা দেরিতে ফল প্রকাশ করে।

রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় এজেন্টদের বের করে দিয়ে একটি রুমে ব্যলট বক্স রেখে প্রায় ১ ঘন্টা পর ভোট গননা শুরু করে। এর প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি উল্টো প্রশাসনের কর্মকর্তারা এজেন্টদের কে বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগ করে ভোট গননার বিবরণীতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে ১ ঘণ্টা দেরিতে ফলাফল প্রকাশ করেন।

নেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গননার বিবরণীতে কোন এজেন্টের স্বাক্ষর ছিলো না। এছাড়া উক্ত কেন্দ্রে ব্যলট পেপার কম ছিলো। যা আমার এজেন্ট পরীক্ষার করার অনুরোধ করলে প্রিজাইডিং অফিসার তা আমলে নেয়নি। বেনাদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী এজেন্টদের কাছ থেকে ভোট গননার বিবরণীতে প্রিজাইডিং অফিসার জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এছাড়া এজেন্ট কে ধমক দিয়ে বসিয়ে রেখে ঘোড়া প্রতীকের ব্যলট লাঙ্গল প্রতীকের ব্যলটের ব্যান্ডেলে ঢুকিয়ে ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকাশ করেন।

পশ্চিম কালিকাপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আনুমানিক ২০০ শত ব্যালেট পেপার তিন নং বুথ থেকে অফিস রুমে নিয়ে লাঙ্গল প্রতিকে সীল মেরে ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিটি কেন্দ্রের ব্যলটের বান্ডেলের নীচে এবং উপরে লাঙ্গল প্রতীকের ব্যলট এবং মাঝে ঘোড়া প্রতীকের ব্যালট ঢুকিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গভীর ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সুকৌশলে সহযোগিতা করা হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে ২৮ নভেম্বর রাতে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জমা দিতে গেলেও তিনি গ্রহণ করেননি। তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ভোটের ব্যলট পুনরায় গননার জন্য জেলা নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Check Also

সাতক্ষীরায় জামায়াত নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার ১০ বছর পর মামলা

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।