মিয়ানমার জান্তা ও আফগানিস্তানের তালেবানের নিয়োগ পাওয়া নতুন দূতেরা সহসাই জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না। বুধবার জাতিসংঘের একটি কমিটি এই দুই দেশের নতুন কূটনীতির বিষয়ে স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের হয়ে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন—এমন সিদ্ধান্ত নিতে এদিন বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি। সেই বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তনের তালেবান সরকার জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্বের জন্য নতুন দূত ঠিক করেছে। একইভাবে সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসা মিয়ানমারের জান্তা সরকারও নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, বাহামা, ভুটান, চিলি, নামিবিয়া, সিয়েরা লিওন এবং সুইডেনের সমন্বয়ে গঠিত নয় সদস্যের জাতিসংঘের ওই কমিটি মিয়ানমার এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব কে করবে এর সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়।
সভায় অধিকাংশ প্রতিনিধি মত দেন, জাতিসংঘের সাধারণ সভায় তারা আফগানিস্তানের তালেবান ও জান্তা সরকারের কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতি আপাতত প্রত্যাশা করেন না।
বৈঠক শেষে ওই কমিটির প্যানেল চেয়ার ও জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আনা কারিন অ্যানেস্ট্রম বলেন, আপাতত আফগানিস্তানের তালেবান ও মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতিনিধিদের জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে জাতিসংঘে আগের সরকারের রাষ্ট্রদূতেরাই আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন কি না—এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আনা কারিন।
জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটির সদস্যদেশের সংখ্যা ৯। এর মধ্যে রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। বর্তমানে এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছে সুইডেন।