সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর :
সারা দিন টিপ টিপ বর্ষা, মাঝে মাঝে ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি। নিম্নচাপ,লঘুচাপ বৈরী আবহাওয়া যাই বলি তা যেন উঠে পড়ে লেগেছে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলাসহ সারা দেশের দক্ষিণ অঞ্চল। খাল, বিল,পুকুর, নদীসহ সমস্ত জলাশয়ে পানি আর পানি। ডিসেম্বরে শীতের বাতাস কাবু করছে স্বাভাবিক জনজীবন।
৫ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়ে আজও চলমান। ফলে বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। এই সময়ের বৃষ্টি ক্ষতি করেছে অভয়নগরের মাঠে মাঠে সরিষার খেত। উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছিলেন চাষীরা। সদ্য সবুজ হয়ে ওঠা সরিষার মাঠ কালো হবে। চাষীদের কপালে ভাজ। ভোজ্য তেলের বেশিরভাগ অংশই সরিষা থেকে পাওয়া যায়। তা এবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রায় ৯০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম ধানের চারা দেওয়া বীজতলা। হাজার হাজার বিঘা জমিতে রোপনের উদ্দেশ্যে বীজতলায় ফেলা ধানের বীজ অতিরিক্ত পানিতে নষ্ট হবে, যদিও কিছু চারা উঠবে তা রোপনের উপযোগী হবে না।
চলার রাস্তায় কাঁদা আর কাঁদা। একে তো শীত তারপর বৃষ্টি। রাস্তায় চলাচল করা গ্রামীণ পরিবহনগুলো বেকার বসে আছে। নেই কোনো যাত্রী, নেই উপার্জন। দুই দিনের বৃষ্টিতেই ক্ষতিগ্রস্ত তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন।
দিন-মজুরের ঘরে বসে থাকা যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। কাজ না করলে হাত ওঠে না মুখে। পরের ক্ষেত খামারে কাজ করেই তাদের জীবন চলে। গ্রীষ্ম, বর্ষার বৃষ্টিতে যদিও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বিশেষ তবে অসময়ে বৃষ্টি, সাথে কনকনে শীতল বাতাস কাজ করার অনুপযোগী। তাদের হাতের উপার্জন নেই তাই তাদের চোখে পানি। তাদের চোখের পানি মুছে দেওয়ার মানুষগুলোর (জমির মালিক) চোখেও পানি।