সাতক্ষীরার আলোচিত বেস্টটীমের মোস্তাফিজের কবল থেকে শিশু কন্যা জেমি কে উদ্ধারের দাবিতে আদালতের স্বরণাপর্ণ হয়েছে এক অসহায় পিতা। এঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,সাতক্ষীরা আগামী ২৩ ডিসেম্বর’২১ তারিখ সকাল ১০টায় ওই শিশু জেমিসহ আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য দ্বিতীয় পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ভুক্তভোগী পিতা সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকাটিয়া গ্রামের মৃত. আফজালুর রহমানের পুত্র আরিফুর রহমান জেমস গত ০৫ ডিসেম্বর ২১ তারিখে তার সাবেক স্ত্রী মুন্নি এবং মোস্তাফিজকে বিবাদী করে সাতক্ষীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নং- ৬৪৭/২১(সাত:)। তিনি জানান, গত ২০১৪ সালে মধ্যকাটিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা মোছলেমা খাতুন(মুন্নি)র সাথে পরিবারিকভাবে বিবাহ হয় তার। বিবাহের পর মুন্নির স্বেচ্ছাচারিতা এবং অবাধ চলাফেরার কারনে বৈবাহিক সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে। তবে দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। মুন্নির সাথে আপোষ তালাকের পর নিয়মিত কন্যা জেমি’র খোজ খবর নেওয়া, খরচ বহন করাসহ মাঝে মাঝে নিজের কাছে নিয়ে আসতেন পিতা জেমস। বিবাহের পর থেকে শিশু কন্যার সাথে পিতা জেমসের দেখা করতে না দিয়ে তালবাহানা করে। ইচ্ছামত ঢাকা-খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মটরবাইকে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে বের হন মুন্নি।
ডোপটেস্টে পজেটিভ চিহ্নিত ইচ্ছামত মটরবাইকে শিশুকে নিয়ে চলাফেরাটা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ওই শিশুটির ভয়ংকর বিপদের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে আশংকা করছেন পিতা আরিফুর রহমান জেমস। কিন্তু বার বার তার শিশু কন্যাকে ফেরত চাওয়ার পরও মুন্নি-মোস্তাফিজ ফেরত না দিয়ে উল্টো ফেসবুক লাইভে জেমসকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে চলেছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগি পিতা জেমস উপায়ন্তর হয়ে কন্যা শিশু জেমি কে নিজের কাছে রাখতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে মুন্নি পুনরায় বিবাহ করলেও আরিফুর রহমান জেমস নিজের শিশু কন্যা জেমির ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়ের পিড়িতে বসেননি। এদিকে গত ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আলোচিত বেস্টটীমের আডমিন মোস্তাফিজ পুলিশের হাতে আটক হয়। আটকের পর পুলিশের ডোপ টেস্টে মোস্তাফিজ পজেটিভ। এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে কাটে মোস্তাফিজের। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠে মাদকাসক্ত মোস্তাফিজ। একপর্যায়ে মোছলেমা খাতুন মুন্নিকে ৩য় স্ত্রী বিবাহ করে।