২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম চলছে। গত ২৫ নভেম্বর থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ৬ লাখ ৪৮ হাজার আর বেসরকারিতে প্রায় ৩ লাখ ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সেই হিসাবে বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলে দ্বিগুণ আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন নিয়ে অধিদপ্তরের জারি করা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সেজন্য যেতে হবে gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায়। এখান থেকে সরকারি বা বেসরকারি অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরমে যেতে হবে। এ পর্যায়ে যেসব তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো দেওয়ার পর ছবি দিতে হবে।
ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। নতুন বছরের ভর্তি আবেদন গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
এদিকে ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণায়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুই শিফট পছন্দ করলে পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি স্কুলে ভর্তিতে গতকাল রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৪টি আবেদন এসেছে। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ৩ লাখ ৫ হাজার ২৩টি আবেদন জমা হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে এ আবেদন করা যাবে।
এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও মাউশির উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, স্কুল ভর্তির আবেদন ও লটারি সংক্রান্ত বিষয়টি টেলিটক মোবাইল প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী দু/একদিনের মধ্যে সারাদেশের সকল স্কুলের শূন্য আসনের তালিকা পাওয়া যাবে। এরপর নির্ধারিত সময়ে লটারি আয়োজন করা হবে।