সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইশতাক আহমেদ রুবেল।
তিনি জানান, মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত। তবে এখনও কোনো আদেশ দেননি।
মামলায় ভার্চুয়াল টকশোর উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলালকেও আসামি করা হয়েছে। আদালতে মামলা করার সময় বাদী মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, অ্যাডভোকেট মহসবন মন্টু, অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন বাচ্চু, অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাদী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চুয়াল টকশোতে অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। তাই তিনি মামলাটি করলেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও কোনো আদেশ দেননি। পরে আদালত এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এর পর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এ ছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।
এ ছাড়া ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি; একই সঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।