মুক্তি – বিলাল মাহিনী

 

সীমাহীন ক্লেশ অবজ্ঞা সয়ে দিবাকরের মতো জ্বলে জ্বলে
জলন্ত আঙ্গার এই ভূমবাসীরা
নিজেদের উৎসমূলের খোঁজ জানে এই বদ্বীপের মানুষেরা।

দীর্ঘপথ হাঁটে, চৈত্রের আগুনে ক্লান্তির ছায়ায় পুড়ে
কয়েকটি অশ্বত্থ গাছ দেখে থমকে দাঁড়ায় পোড়া মন
ছায়াবাড়ি খুঁজে নেয় গাছের নিচে
শাখায় শাখায় হরিয়াল পুষ্পকলি দেখে।

স্বপ্ন দেখা হৃদ নীলাকাশে উড়ার পাখা মেলে
তখন শ্মশ্রুমণ্ডিত এক কালাপাহাড় বজ্রধ্বনি তোলে
মজলুমের কাণ্ডারি বেশে;
এরপর প্রাংশু দেহের এক মহাপুরুষ এসে দাঁড়ায়
চোখে তাঁর অগ্নিভাষা, দ্রোহের কাব্য কণ্ঠে নিয়ে
দৃপ্ত আঙুল দেখে স্বপ্নাহত মানুষেরা পিছু হাঁটে তাঁর
কাঁধে তুলে জুলুমের বোঝা শত ভার
দীর্ঘ দিবস-রজনী আর অন্ধকার ভেঙে স্বপ্নকুসুম ফোটে।
তবুও মুক্তি জোটে না
মুক্তি বহুদ্দুর!

Check Also

সুন্দরবনে পরিবারের সঙ্গ: কাইয়ুম রাজের আনন্দঘন ভ্রমণ

আমি এবিএম কাইয়ুম রাজ। এবারের ঈদে আমি নানুবাড়ি গিয়েছিলাম। ঈদের আনন্দ পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।