আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নে বিপুল ভোটে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু ব্ক্কর সিদ্দিক বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে
২২ হাজার ৪১৮ ভোটর মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন। সন্ধা ৭টা পর্যন্ত প্রাথমিক গণনায় ৭টি কেন্দ্রে চশমা প্রতীক ২হাজার ভোটে এগিয় আসে বলে সূত্র জানায়। ইত্যো মধ্যে তিনি জয়ী হয়েছেন। ১৫শ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রাথী আনারসকে পিছিয়ে ফেলে তিনি জয়ী হয়েছেন। এছাড়া এখানে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
—————————————-=—————————————
আশাশুনি উপজেলার ১১ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে লড়য় করে মোট চেয়ারম্যান ৫৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ১৩৩ জন এবং সাধারণ মেম্বর পদে ৪৪৭ জন প্রার্থী।
উপজেলার ১০৪টি কেন্দ্রে, ৬১১টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয় মোট ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৮৯ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১১ হাজার ২২ জন। প্রসঙ্গত. গত ২০ ডিসেম্বর সোমবার বরাদ্দকৃত প্রতীক পেয়েই ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ১১জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী ১ জন ও বাকী ৩৮ জন স্বতন্ত্র ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এসব প্রার্থীদের প্রতীক রয়েছে- জামায়াত মনোনিত চশমা প্রতীক। এছাড়া ঘোড়া, আনারস, টেলিফোন, মটর সাইকেল, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন প্রার্থীরা। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর পদে ১১ ইউনিয়নে ৩৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ১৩৩ জন প্রার্থী মাইক, বই, কলম, বক, হেলিকপ্টার, সূর্যমূখী ফুল, তালগাছ, ক্যামেরা, জিরাফসহ বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন। এছাড়া উপজেলার ৯৯ সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বর পদে ৪৪৭ জন প্রার্থী আপেল, মোরগ, ব্যাট, ভ্যান গাড়ি, বৈদ্যুতিক ফ্যান, টিউবওয়েল, ফুটবল ও তালা প্রতীকসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান সিকদার জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।