সাতক্ষীরার তালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে শিখা রানী দাস নামে দু’ সন্তানের এক জননীকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর রাত ৪টার দিকে পাটকেলঘাটা থানার বলফিল্ড মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তালা সদর ইউনিয়নের আটারই গ্রামের অনিল দাস (৬০), তার ছেলে মান্দার দাস (২০) ও নিহতের স্বামী গোবিন্দ দাস (৩০)।
র্যাব সাতক্ষীরার কোম্পানী অধিনায়ক মো. ইশতিয়াক হোসাইন জানান, পাটকেলঘাটা থানাধীন আমানুল্লাহপুর গ্রামের সূর্যকান্ত দাসের মেয়ে শিখা রানী দাসকে পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে তালা থানার আটারুই গ্রামের অনিল দাসের ছেলে গোবিন্দ দাস। বর্তমানে তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই গোবিন্দ দাস ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে শিখা রানী দাসকে মারপিট করতো।
বিভিন্ন সময় স্থানীয়ভাবে শালিশী বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। গত পগেলা জানুয়ারি সকালে শিখাকে নির্যাতন করে হত্যার পর স্বামী, দেবর ও শ্বশুর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সংর্যকান্ত দাস বাদি হয়ে তালা থানায় একটি হত্রা মামলা দায়ের করেন। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ ঘটনার সত্যা পেয়ে নিহত শিখার শ্বাশুড়ি বিল্ব রানী দাসকে গ্রেপ্তার করে। নিহতের পালিয়ে যাওয়া শ্বশুর অনিল দাস, স্বামী গোবিন্দ দাস ও দেবর মান্দার দাসকে বৃহষ্পতিবার ভোর চারটার দিকে পাটকেলঘাটা বলফিল্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের তালা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।