টাঙ্গাইলের মধুপুরে পিকআপ-সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে মা, মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর সড়কের মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই রূপালী ফিলিং স্টেশনের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতরা সবাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। হতাহতদের উদ্ধার করে ১০০ শয্যার মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন— জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের জনৈক সাইদুর রহমানের স্ত্রী শারমিন (৩১), মেয়ে সোহাগী (৩) এবং শেরপুরের শ্রীবরদীর বড়বাড়ীর মিনার হোসেনের ছেলে রাসেল (২২)।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী আহত আবু জাফর যাচ্ছিলেন শেরপুরে একটা পরীক্ষায় অংশ নিতে।
তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মধুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এক থেকে দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর রূপালী ফিলিং স্টেশনের পাশে মহাজন সরকারের বাড়ির মোড়ে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে দ্রুতবেগে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাদের অটোরিকশা রাস্তা থেকে খাদে ভুট্টাক্ষেতে পড়ে যায়। রাস্তায় উল্টে যায় পিকআপভ্যান।
এদিকে খবর পেয়ে মধুপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনায় কবলিতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসান শিশু সোহাগী ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. হাসান জানান, বাকি আহতদের মধ্যে শারমিন ও রাহেনা (৫৫) নামে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করার সময়ই নিহত সোহাগীর মা শারমিনের মৃত্যু হয়। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পিকআপভ্যান ও সিএনজি পুলিশি হেফাজতে আছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।