নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি

বিএনপি মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এ কারণে তারা সংলাপ বর্জন করেছে। জাতীয় সরকার গঠনের কিংবা অস্বাভাবিক সরকারের দাবি জানিয়ে দেশকে কার্যত সাংবিধানিক ধারার বাইরে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। এসব কথা বলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলে, শুধু ভালো নির্বাচন দেশে রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র শর্ত না, আরও কিছু শর্ত আছে। এসব শর্ত পূরণ করা না গেলে ভোটের মাঠে যারা পরাজিত হবেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রও করবে।

এজন্য সবার আগে প্রয়োজন ৫০ বছর ধরে চলতে থাকা অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা হওয়া। এটা না হওয়া পর্যন্ত দেশে এক হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। দীর্ঘ আলাপচারিতায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপ, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের এই সংলাপ বর্জন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন ইনু। সম্প্রতি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ন্যাম ভবনে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শেখ মামুনুর রশীদ। আলাপচারিতার চুম্বকীয় অংশ নিচে দেওয়া হলো-

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলমান সংলাপ প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, ইসি গঠনের সাংবিধানিক ক্ষমতা একমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির। এজন্য তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা ওনার মহানুভবতা। আমি এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি এটা না করলেও তার কোনো ক্ষতি ছিল না। বরং তার এই সংলাপে বসার উদ্যোগ ইসি গঠন প্রক্রিয়াকে অংশগ্রহণমূলক করতে সাহায্য করছে। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের এই সংলাপে অংশ না নেওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। অতীতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত ইসি কখনো ভালো কাজ করেছে, কখনো একটু খারাপ কাজ করেছে। সুতরাং রাষ্ট্রপতির মনোনীত ইসি একেবারেই অর্থহীন-এই ভাবনাটা সঠিক মনে করি না।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রের প্রতীক হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। এই প্রতিষ্ঠানকে সমুন্নত রাখা সবারই কর্তব্য। সংলাপ কখনো শতভাগ সফল হয় না। কখনো শতভাগ ব্যর্থও হয় না। কখনো এক বা দুইবার ফল আসেনি। তারপরও চেষ্টা করতে দোষ নেই। আমরা সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলেছি। অতীতেও একাধিকবার এই দাবি জানিয়েছি। যেহেতু আইনটি হয়নি বা সরকার এই আইনটি করার উদ্যোগ নেয়নি, এর জন্য আমরা সরকারের সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু রাষ্ট্রপতির আহ্বানকে উপেক্ষা করতে পারি না। এটা করা ঠিকও হবে না।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ধরেন ইসি খুব ভালো হলো। যারা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবেন, তারা ইসিকে সাধুবাদ জানাবেন। কিন্তু যারা পরাজিত হবেন, তারা ফলাফল মানবেন কি না, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। না আওয়ামী লীগ, না বিএনপি, না অন্য কোনো রাজনৈতিক দল।

তিনি আরও বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা কী বলে, ইসির অধীনে নব্বইয়ের পর নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা পরাজিত হয়েছেন, তারা ফলাফল মেনে নেননি। একানব্বইয়ের পর চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইসি গঠন করেছে। কিন্তু প্রতিবারই পরাজিতরা ইসির ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। নির্বাচন নাকচ করেছে। এমনকি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এ থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে নির্বাচনের পর কখনো বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই দেখা গেছে, পরাজিতরা সরকার উৎখাতে এবং সংসদকে অকার্যকর করার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, হইচই করেছে।

এই অচলায়তন থেকে উত্তরণের পথ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ এই বামপন্থি নেতা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর হয়ে গেলেও ঐতিহাসিক কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। যেমন: স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, সংবিধানের চার মূলনীতি প্রভৃতি। এর ফলে কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে, কেউ যুদ্ধাপরাধীদের লালন করে। কেউ বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলে। আরেক পক্ষ ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা, বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসনে পাঠায়। এক পক্ষ সংবিধানের চার মূলনীতিকে সামনে রেখে পথ চলে, আরেক পক্ষ সামরিক শাসনকে মহিমান্বিত করে। এসব জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা না হলে, বছরের পর বছর চলতে থাকা এসব অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা না হলে, দেশে এক হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চাই, সেটি হচ্ছে-জাতীয় ও মৌলিক বিষয়গুলোয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা গেলেই কেবল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। অনেকেই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে-আগামী নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হবে, সেই সরকার যদি চিহ্নিত চোরদের কিংবা দণ্ডিত অপরাধীদের বিচার করে; অন্যদিকে আরেক পক্ষ যদি সরকারে এসে রাজাকারদের ক্ষমতার ভাগীদার বানায়, বঙ্গবন্ধুকে উড়িয়ে দেয়, বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসনে পাঠায়, তাহলে সংকটের সমাধান হবে না বরং বাড়বে।

মাঠের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির সংলাপও তারা ইতোমধ্যে বর্জন করেছে। কী হতে যাচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে, কী মনে হয় আপনার-এমন প্রশ্নে জাসদ সভাপতি বলেন, যারা সরকারের পদত্যাগ চায়, জাতীয় সরকার চায়, কিংবা অসাংবিধানিক সরকার চায়, যারা সংলাপ বর্জন করছে, তারা আসলে আগামী দিনে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লড়াই করছে না। তাদের মূল লক্ষ্য স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে, তাদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা, পাকিস্তান পন্থাকে অনুসরণ করা, সাম্প্রদায়িক চর্চাকে অনুকরণ করা, মীমাংসিত বিষয়গুলোকে আবারও নতুন করে অমীমাংসিত করে তোলা। সর্বোপরি তাদের নেতা-নেত্রীদের অপরাধ থেকে রক্ষা করা।

বিএনপির বাইরে অনেক বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলও রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়নি। এটাকে কী বলবেন-জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, কেউ বুঝে আবার কেউ না বুঝে সংলাপ বর্জন করেছেন। সবার লক্ষ্য এক না হলেও না বুঝে কেউ কেউ হয়তো পাকিস্তান পন্থার ফাঁদে পা দিয়েছেন। এতে মূলত স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দিনশেষে লাভবান হবে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরাই।

বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এবার কী করবে তারা, শেষ মুহূর্তে কি দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে, কী মনে হয় আপনার-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন তাদের লক্ষ্য না। নির্বাচন বানচালই তাদের লক্ষ্য। অস্বাভাবিক সরকার তাদের লক্ষ্য। এজন্যই শুরুতে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে বিএনপি। তাদের ভাষায় সংলাপ আইওয়াশ মাত্র, এটা বিএনপির কাল্পনিক ভাবনা। সংবিধানে আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও আইনটি হয়নি। এ অবস্থায় সাংবিধানিক ক্ষমতা বলেই রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য আমাদের সবার রাষ্ট্রপতির ওপরই আস্থা রাখতে হবে। যারা রাষ্ট্রপতির ওপর আস্থা রাখছেন না, তারা হয় বুঝে, না হয় না বুঝে নির্বাচন বানচালের চক্রের পথে পা দিচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে। এ কারণেই হয়তো রাজনৈতিক দলগুলো নির্দলীয় সরকার, কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এই চাওয়াটা কি অমূলক, কী মনে হয়-জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, সব নির্বাচনেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। হয়তো মাত্রার হেরফের ছিল। রাতের ভোট বন্ধে প্রশাসনের নিরপেক্ষ অবস্থান থাকতে হবে। আমরা মনে করি, ভোটের কারচুপিতে প্রশাসনের যুক্ত হওয়া উচিত না। এটি একটি গুরুতর অপরাধ। আবার এটাও ঠিক যে সব রাজনৈতিক পক্ষকে নির্বাচনের মাঠে থাকতে হবে। সব পক্ষ ভোটের মাঠে সক্রিয়ভাবে থাকলে প্রশাসন সেভাবে পক্ষপাতিত্ব করতে পারে না। তাদের মনে ভয় কাজ করে।

জাসদ সভাপতি বলেন, এতকিছু সত্ত্বেও আমি মনে করি, যা করার সংবিধানের ভেতরে থেকেই করতে হবে। এর বাইরে গিয়ে কিছু করা যাবে না। সংবিধানের বাইরে গিয়ে চক্রান্তের রাজনীতির সূত্রপাত করলে দেশে আবার নতুন করে অস্থিতিশীলতারই জন্ম দেবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকেই সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার দেখা যাচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একই ধারাবাহিকতা। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিশ্চয়ই এটি একটি নেতিবাচক দিক, কী বলেন আপনি-এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে নিশ্চয়ই এমন ঘটনা ঘটত না। এ কথা যেমন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেলায় সত্য, তেমনই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্যও প্রযোজ্য। আমি আগেই বলেছি, সব দল ও তাদের প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকলে প্রশাসন বাধ্য হয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করত। তেমনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না।

আওয়ামী লীগ একটানা তেরো বছর রাষ্ট্রক্ষমতায়। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মিলিয়েছেন কখনো-জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে বিএনপির টার্গেট হচ্ছে দেশে একটি অস্বাভাবিক সরকার গঠন করা। পঁচাত্তর-পরবর্তী জিয়া-এরশাদের শাসনামলের ভাবনা মাথায় রেখে তারা এখনো পাকিস্তানের ট্রেনেই আছে। এই ট্রেন থেকে আজও নামতে পারেনি। এ কারণেই দলটি নতুনভাবে আবার সক্রিয় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রমের বিরোধিতা করছে। এখনো তারা স্বাধীনতাবিরোধী, পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধী, জামায়াতের পার্টনারশিপ ছাড়তে পারেনি। এখনো তারা সাংবিধানিক সরকার উৎখাত করে অসাংবিধানিক সরকার চায়। সংবিধানের বাইরে দেশকে ঠেলে দিতে চায়।

হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত তেরো বছর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পথ চলছে। সংবিধানের চার মূলনীতি অনুসরণ করে পথ চলছে। এই তেরো বছরে শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানপন্থাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানপন্থার যুদ্ধাবস্থার মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। গত তেরো বছরে এটাই আমাদের বড় অর্জন, বড় প্রাপ্তি।

কিন্তু এই সময়ের মধ্যে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, সর্বত্র দলীয়করণ, আমলানির্ভরতার অভিযোগটাকে কীভাবে দেখবেন-জবাবে তিনি বলেন, এটা শাসন-প্রশাসনের ব্যর্থতা। সুশাসনের ঘাটতি। দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট এবং দলবাজদের গুন্ডাবাজি। এই দুটি বিষয় আপদ হিসাবে দেখা দিলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তভাবে আছে। দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট এবং দলভাজদের গুন্ডাবাজির আপদ-আগামী দিনে এই চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনার সরকার কীভাবে মোকাবিলা করবে, তার ওপর সুশাসনের মাত্রা নির্ধারিত হবে।

জাসদ ১৪ দলীয় জোটে আছে। জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এখন সংসদীয় কমিটির সভাপতি। জোটের ভেতরে কেন আছেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির যদি ধারাবাহিকতা দেখি তাহলে বলব, ওই সময়ে যে কারণে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল, সেই কারণটি এখনো বিদ্যমান। যে বিরুদ্ধ রাজনৈতিক সে াতের বিপরীতে ১৪ দলের যাত্রা, সেই বিরুদ্ধ রাজনৈতিক সে াতে দেশ এখনো জর্জরিত। আগের দুটি নির্বাচন বিএনপি বানচাল করতে চেয়েছে। একটিতে অংশ নেয়নি। আরেকটিতে শেষ মুহূর্তে এসে অংশ নেয়। এবারও তাদের প্রধান লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করা। এর বিপরীতে ১৪ দলকে রাজনৈতিক কারণেই সক্রিয় রাখতে হবে। জোটকেও অটুট রাখতে হবে। আর জোটে থাকলে সেখানে চাওয়া-পাওয়ার স্বপ্ন, আশা-বেদনা-সংকট থাকবেই। এসব থাকা সত্ত্বেও আমি মনে করি, ১৪ দলের ঢালটাকে আরও জোরদার করা প্রয়োজন।যুগান্তর

Check Also

তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ

মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।