চলতি সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির নতুন বিয়ে ও মা হওয়ায় খবর একসঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে ১০ জানুয়ারি। সেদিন বিকালে খবরটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়। এখন পর্যন্ত শোবিজে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে পরীমনির খবর।
এছাড়া একাধিকবার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের কথা চাউর আছে বাংলাদেশের মিডিয়াঙ্গনে। পরীমনি এসব তথ্যের কিছু স্বীকার এবং কিছু অস্বীকার করেন বিভিন্ন সময়ে। তবে ১০ জানুয়ারি উইকিপিডিয়ায় পরীমনির পাঁচ বিয়ের তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়। সেখানে পর্যায়ক্রমে পাঁচ বিয়ে ও স্বামীর নাম ক্রমানুসারে দেখা যাচ্ছে।
সেখানে লেখা আছে— ২০১০ সালে পরীমনির প্রথম বিয়ে হয় তার কাজিন ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। ২০১২ সালে সেই সংসার ভেঙে যায়। একই বছর ফুটবলার ফেরদৌস কবির সৌরভের সঙ্গে পরীর বিয়ে হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল তাদের সেই সংসার। এরপর একই বছর সাংবাদিক ও আরজে তামিম হাসানকে বিয়ে করেন পরীমনি। অল্প দিন পরই এ বিয়েও ভেঙে যায়। এরপর নির্মাতা ও অভিনেতা কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে হঠাৎ করেই বিয়ের ঘোষণা দেন পরীমনি। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই বিয়েও ভেঙে যায় তার।
সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়ে হয় পরীমনির। কিন্তু সেটির ঘোষণা দেন গত ১০ জানুয়ারি। সেই সঙ্গে ছিল মা হওয়ার খবরও। তবে উইপিডিয়ায় সব তথ্য সন্নিবেশিত হয়নি বলে পরীমনি ঘনিষ্ঠ অনেকেই নিশ্চিত করেন। তাদের দাবি পরীমণি আরও কয়েকটি বিয়ে করেছিলেন যেগুলো এখনো কেউ জানেন না। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এক তরুণ আলোকচিত্রীর সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি।
ঢাকায় যখন প্রথম আসেন পরীমনি তখনই এই চিত্র সাংবাদিকের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। কথিত আছে সেই তরুণ আলোকচিত্রীই পরীমনিকে মডেলিংয়ের জগতে পরিচিত করান। একটু পরিচিতি পাওয়ার পরই স্বভাব সুলভ পরীমনি সেই আলোকচিত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ঘটনাগুলো অনেকেরই জানা আছে।