আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া নারীকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরাতে আদালতে করা আপিল শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির একটি সুপ্রিমকোর্ট।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কোনো মন্তব্য করা ছাড়াই সোমবার সুপ্রিমকোর্টের বিচারকরা এই নারীর আইনজীবীর করা আপিল শুনতে অস্বীকৃতি জানান।
১৯৯৪ সালে নিউজার্সিতে জন্ম হয় হোদা মুথানার। ইয়েমেনের কূটনীতিক পরিবারে জন্ম মুথানা আলবামার বার্মিংহামে বেড়ে ওঠেন।
২০১৪ সালে ২০ বছর বয়সে হোদা মুথানা সিরিয়ায় পালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগদান করেন এবং এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন। সেখানে তার একটি সন্তান রয়েছে। যুদ্ধে হোদার স্বামী প্রাণ হারান। পরে এই নারী যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তবে এ মুহূর্তে তিনি কোথায় আছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হোদা মুথানার পরিবার তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরাতে চান। তবে মার্কিন প্রশাসন তাকে গ্রহণে ইচ্ছুক নয়।
তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসন হোদা মুথানা ‘মার্কিন নাগরিক নয়’ জানিয়ে তার পাসপোর্ট বাতিল করে। কিন্তু তার পরিবার সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত রায় দেন, হোদা মুথানার নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।
আদালতের সিদ্ধান্তের বিপরীতে হোদার পরিবারের আইনজীবী— হোদার বাবা জাতিসংঘের কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং হোদার জন্মের আগেই তার মিশন শেষ হয় মর্মে যুক্তি দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় হোদা মুথানার পাসপোর্ট করা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইএসে যোগ দেওয়া এই নারীকে নিয়ে টুইট করলে বিষয়টি ব্যাপক মনোযোগ পায়। এক টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন— পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি হোদা মুথানা যাতে দেশে না ফিরতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।