শাহীন আলম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গান বাজনার উচ্চশব্দে ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারিত করা থাকলেও একাডেমিক ভবনের ফটকের সামনে উচ্চশব্দে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটেছে।
জানা যায়, বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে পৌষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে পিঠা প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে প্রায় ৩ঘন্টা গান বাজনা চলে। এতে ক্লাস-পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এদিকে পার্শ্ববর্তী অনুষদ ভবনের দিকে সাউন্ড বক্স ঘুরিয়ে দেওয়ায় এ জটিলতা আরও বেশি তৈরি হয়। অনুষদ ভবনে চারটি বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। এসময় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটায় দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বার বার অবিহিত করার পরেও এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেননি তারা।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী রাশেদ জোয়ার্দার বলেন, শব্দদূষণ একাডেমিক সময়ে আশা করিনা, পরীক্ষা চলে আর অন্য দিকে উচ্চ শব্দে গান চলে।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুরশিদ বলেন, কাজটা ভালো হয় নি আমি এজন্য দুঃখিত। এই অনুষ্ঠানে তারা বাংলা বিভাগের নাম ব্যবহার করেছে কিন্তু এই অনুষ্ঠানটা বাংলা বিভাগের না। এরা অনুমতি নিয়েছে প্রক্টরের কাছ থেকে, বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানসূচিতে এরকম কোন কিছু নাই।
এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল বাংলা মঞ্চ তবে বৃষ্টির কারণে তারা একাডেমিক ভবনের নিচে অনুষ্ঠানটি করে। তবে ক্লাস পরীক্ষার সময় উচ্চস্বরে গান বাজানো ঠিক হয় নি। আল কোরআন বিভাগের সভাপতি আমাকে অবহিত করা মাত্র আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর এবং সিকিউরিটি সুপারভাইজার এর মাধ্যমে মাইকটি বন্ধ করি।
এবিষয়ে দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ বলেন, আমি প্রক্টরকে সকালে জানাই এখানে শব্দের কারণে বসা যাচ্ছে না এবং দ্রুত এটা বন্ধের জন্য অনুরোধ করি। পরে প্রক্টর আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধ তো হয়নি বরং জোহরের নামাজের সময় শব্দের অবস্থা বেগতিক ছিল এবং অনেক কষ্টে আমরা নামাজ শেষ করি।