বিখ্যাত ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী সুলেমান আল-হাথালিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। দু’সপ্তাহ আগে তাকে ইসরাইলি পুলিশের একটি টো ট্রাক দিয়ে চাপা দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। সোমবার এ বিখ্যাত ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট আই।
ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী সুলেমান আল-হাথালিন তার মাথা, বুক, পেট ও কোমরে গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের আল-মিজান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর টো ট্রাক দিয়ে চাপা দিলে তিনি তার শরীরের এসব অঙ্গে মারাত্মক আঘাত পান। তাকে এ আল-মিজান হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল এবং এখানেই তিনি মারা যান। সোমবার সকালে তিনি এ হাসপাতালে মারা যান।
উত্তর হেবরন শহরের মাসাফের ইয়াত্তা এলাকার ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও নেতা সুলেমান আল-হাথালিনের বয়স ছিল ৭৫। তিনি হজ সুলেমান নামে পরিচিত। তিনি ইসরাইলি দখলদারিত্ববিরোধী বিখ্যাত নেতা ছিলেন। তিনি সব সময় ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ১৯৮০ সালে উম্মুল খায়ের গ্রামে ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন তিনি। সুলেমানকে এ বছরের ৫ জানুয়ারি তারিখে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর টো ট্রাক দিয়ে চাপা দেয়া হয়।
ওই সময় মাসাফের ইয়াত্তা এলাকার উম্মুল খায়ের গ্রামে ইসরাইলি পুলিশ আসে, তারা ইসরাইলের অনুমোদন ছাড়া রাস্তায় চলাচল করা ফিলিস্তিনি গাড়িগুলোকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ফিলিস্তিনিরা তাদের এ কাজে বাধা দেয়। এ সময় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত টো ট্রাক থামায় তারা। এ সময় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী ওই বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়ে ও গুলি চালায়। ওই সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সুলেমান আল-হাথালিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করে ইসরাইলিরা। ফুয়াদ আল হুমুর নামের এক ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় বলেছে, সুলেমান আল-হাথালিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিচার দিবেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই