মো: রাসেল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যশোরের পেশাদার সাংবাদিকরা। সহযোগিতার পরিবর্তে এ অফিসের পদস্থ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে অশোভন ও অসৌজন্যমূলক আচরন করছেন।
আজ দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সাতটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একসাথে মিলিত হয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসারের প্রত্যাহারে দাবি ও এহেন কাজের নীন্দা জানান।
সর্বশেষ রোববার অনুষ্ঠেয় ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্ড সংগ্রহের জন্যে শনিবার ওই অফিসে গিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসারের দুর্ব্যবহারের শিকার হন একাধিক সাংবাদিক। নির্বাচনী কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও
এ অফিসে নাগরিকসেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষও প্রতিনিয়ত হয়রাণির শিকার হবার অভিযোগ রয়েছে।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে ক্লাবের সহ সভাপতি নূর ইসলাম, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরামউদ্দৌলাহ , সাধারণ সম্পাদক দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম আইউব ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, বাংলাদেশ ফটো জার্ণালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনিরুজ্জামান মুনির ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার, যশোর টিভি জার্ণালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাকিরুল কবির রিটন ও সাধারণ সম্পাদক শিকদার খালিদ, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ ও প্রেস ক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ও মিলন রহমান, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান রিপন,দপ্তর সম্পাদক তৌহিদ জামান, ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক তোহিদ মনি, নির্বাহী সদস্য শহিদ জয়, ফিরোজ গাজী সাজেদ রহমান,প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান।সভায় যশোর জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির ও তার সহকর্মী আতিকুল ইসলামের চলমান আচার আচরন নিয়ে সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পেশাগত দাায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকরা জেলা নির্বাচন অফিসারের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন।
শুধু সাংবাদিকরাই নয়,জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসে আগত সাধারণ জনগনের সাথেও জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির ও তারসহকর্মী আতিকুল ইসলাম প্রায়ই দুর্ব্যবহার করেন।এছাড়া এই অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না।
বিশেষ করে নামের ভুল সংশোধনী, এনআইডি কার্ডের সমস্যা, পিতা মাতার নামের বানান ভুল,স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনসহ নানারকমের কাজ নিয়ে যখনই কোন সাধারণ মানুষ জেলা নির্বাচন অফিসে যান তিনি বা তারা বিড়ম্বনার শিকার হন। প্রায়ই এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইসহ পেশাগত কারণে সাংবাদিকরা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে গেলে তাদেরকে তিনি নানা-ভাবে হেনস্তা করেন।