বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কখনো লবিষ্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো লবিষ্ট নিয়োগের সিদ্ধান্তই কখনো নেয়নি, লবিষ্ট নিয়োগ করার প্রয়োজনও বোধ করেনি। লবিষ্টগণ যে সব কথা বলবেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ তা নিজেরাই বলে থাকেন এবং তাও গোপনে না, প্রকাশ্যে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অব্যহতভাবে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এসব কার্যক্রমের খবর দেশ-বিদেশে প্রচারিত হয় এবং দেশ বিদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রসমূহকেও তারা তাদের বক্তব্য ও অভিমত প্রকাশ্যেই অবহিত করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, এক কোটিরও বেশী বাংলাদেশী নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেন। তাদের কষ্টার্জিত উপার্জনের অর্থে আমাদের দেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে। আমরা তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলে সম্মান জানাই। এই বিশাল জনগোষ্ঠী জীবিকার প্রয়োজনে প্রবাসে থাকলেও তাদের শিকড় বাংলাদেশে।
এদেশে তাদের আত্মীয়, বন্ধু, সহায়-সম্পদ রয়েছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুশাসনে আনন্দিত হন; আবার বৈষম্য, অপশাসন, দূর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লংঘন এবং এসব কারনে দেশের মর্যাদা হানিতে স্বাভাবিক ভাবেই কষ্ট পান, ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী হন ।
দেশের সঙ্কটে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে অদ্যবধি যখনই তারা দেশে সংকট দেখেছেন, দেশের মানুষের কষ্ট দেখেছেন, অধিকারহীন মানুষের আর্তনাদ শুনেছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লংঘণ দেখেছেন এবং দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হতে দেখেছেন- তখনই তারা নিজেদের হৃদয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন, এমনকি মিছিল করেছেন। সেসব দেশের সরকার, আইন সভার সদস্য, মানবাধিকার সংগঠনে তারা যেমন লবিং করেছেন তেমনি স্বদেশের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সফর কালে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ, বেদনা ও আকাক্ষার কথা তুলে ধরেছেন। সব কিছুই তারা করেন দেশকে ভালবেসে, দেশ ও প্রিয় দেশের জনগণের স্বার্থে। এসব করতে গিয়ে তারা কাঙ্খিত পরিবর্তন অর্জনের লক্ষ্যে স্ব স্ব দেশের আইন অনুযায়ী আরো যা কিছু করা সম্ভব তাও করেন এবং করতেই পারেন। তাদের এসব উদ্যোগ যেমন বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করতে পারে না, সুবিধাভোগীও হতে পারেনা। কেউ অসুবিধার শিকার হলে তার উচিত অভিযোগ না জানিয়ে তাদের আকাঙ্খা পূরণে উদ্যোগী হওয়া। এটাই প্রত্যাশিত, এটাই গণতান্ত্রিক এবং এটাই উচিত।