খালিদ হাসান, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ২য় ডোজ নিতে শিক্ষার্থীদের ভীড় বাড়ছে টিকাদান কেন্দ্রেগুলোতে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।শিক্ষার্থীদের ভীড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে টিকাদানের সাথে সংশ্লিষ্টদের। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক আলাদা আলাদা দিন ও সময় নির্ধারণ করে দিলে ভীড় এড়ানো সম্ভব হবে।
সরেজমিনে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়,বাগেরহাট সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রের সামনে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী টিকা গ্রহনের অপেক্ষা করছেন।বিভিন্ন এলাকা ও প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন তারা।সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই তাদের মাঝে।তবে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পরেও টিকা দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
মেয়েকে টিকা দিতে নিয়ে আসা এক শিক্ষার্থীর বাবা বাগেরহাট সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ মাহমুদ আলী মোহন বলেন,শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ শিক্ষার্থীদের রুটিন মাফিক করে দিলে আমরা আরও বেশি সচেতন হতে পারতাম।তাহলে অনাকাঙ্খিত ভীড় ও সমস্যা এড়ানো যেত।
বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বখসি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাগেরহাট জেলা অনেক এগিয়ে রয়েছে।ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৬৩ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।আসাকরি এই সংখ্যাকে আমরা শতভাগে নিতে পারব।যারা টিকা নেননি তাদেরকে দ্রুত টিকা গ্রহনের অনুরোধ করেন তিনি।
বাগেরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়,বাগেরহাট জেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে এইচ,এসসি পর্যন্ত ( ১২ থেকে ১৭ বছর) বয়স পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৬শ ৪৪ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহন করেছে।এই সংখ্যাকে শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহনের হার শতভাগ বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ৪০হাজার ২শ ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যা ১ম ডোজ গ্রহনকারীদের শতকরা ২৯দশমিক ৪৮ ভাগ। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ লাখ ৯৬ হাজার ১শ ১৭ জনকে প্রথম ডোজ (শতকরা ৬২.৮৪ শতাংশ ) দেয়া হয়েছে।যা মোট জনসংখ্যারি ৬২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৮ শ ১৬ জন।বুষ্টার ডোজ দেয়া নিয়েছেন ২০ হাজার ১শ ১২জন।