টিউশন গল্প: (প্রাপ্তির রেশ) – জাহাঙ্গীর আলম

……..ধূষর শুভ্র নীল আকাশটার যেন আজ মন ভালো নেই। তাই বিকাল থেকে নীল আকাশ টা তার মনের ক্যানভাসে ভাসিয়েছে হালকা মেঘের ভাসমান তরী। মনে হচ্ছে কিছুক্ষন পর রিমঝিম বৃষ্টি শুরু হবে। এসব কথা ভাপতে ভাপতেই সুমন ঘুমিয়ে পড়লো। শরীর টা আজ বেশি ভাল না সুমনের, শরীরে হালকা জ্বর বইছে,সুমন ঘুমের ঘরে বিড়বিড় করে কি যেনও বলে চলেছে। এদিকে মেঘাছন্ন আকাশটা তার মনের ক্যানভাসে জমে থাকা কষ্টগুলা কে রিমঝিম বৃষ্টি তে পরিনত করেছে। সন্ধ্যা পয`ন্ত বৃষ্টি হলো। বৃষ্টি শেষে সন্ধ্যার ঘনঘাটা পেরিয়ে প্রকিতি যেনও সাজিয়েছে তার নতুন সাঁজ। সুমনের আম্মু সুমন কে ডাকতে শুরু করেছে…..(দরজার ওপাশ থেকে)

আম্মু : সুমন…সুমন.. ওঠ বাবা..ওঠ,, তোর দাদির জন্য বাজার থেকে ঔষধ টা নিয়ে আইতো বাবা.. সুমন ..সুমন…. সুমনের কোনে সাড়া শব্দ না পাওয়াই,সুমনের আম্মু রুমে প্রবেশ করলো সুমনের গায়ে হাত রাখতেই বললো… একি এত অনেক জ্বর.. কপালে ও হাত দিলো.. মা এর মন ছটফট করতে শুরু করলো। মা দেরি না করে দ্রুত ডক্তার কে ফোন দিলেন। আর সুমনের মাথায় জল পট্টি দিতে থাকলো। প্রায় 15 মিনিট পর ডক্তার আসলো।জ্বর পরীক্ষা করে সুমনের ঔষধ দিলো। মা খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। সুমন তার একমাত্র ছেলে। সুমনের ছোট্ট একটা বোন ছিলো ,দুই বছর বয়সে ম্যলেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাই, সুমনের বাবা ও বেচে নাই । । তারপর সুমন কে নিয়েই  বেচে   আছে। অনেক স্বপ্ন ছেলে কে নিয়ে, ছেলে একদিন বড় হবে ,মা এর দুঃখ ঘুচাবে। সুমন কে ওষধ খাইয়ে মা নামাজের পাটিতে ছেলের সুস্থতা প্রাথ`না করতে লাগলেন। একটু একটু করে সুমন সুস্থ হয়ে উঠলো। কিন্তু সুমন এক ডিপ্রেশন এ ভুগছে কিছুদিন। যা মা কে বলতে পারছে না। সুমনের সামনে এইচ এস সি পরীক্ষার ফর্মফিলাপ এর টাকা লাগবে। কিভাবে ম্যানেজ হবে এত টাকা এটাই নিয়ে টেনশন। দুই মাস হলো টিউশনি ও নাই। সুমন ভাবতে থাকে দুই একটা টিউশনি হলে হয়তো টাকা টা ম্যানেজ হতো। হঠাৎ সুমনের ফোন টা বেজে উঠলো। হ্যালো.. আছসালা-মুঅলাইকুম… ওয়ালাইকুম আছছালাম…(ওপাশ থেকে) ——কে বলছেন…? ——আচ্ছা এটা কি সুমনের নাম্বার? —–জ্বি বলুন আমি-ই সুমন। —-আসলে আমি আমার মেয়েটা কে পড়াতে চাইছিলাম।আপনার কি সময় হবে?? —–কিছু চিন্তা না করেই সুমন বললো জ্বি আঙ্কেল আমি পড়াবে। অতঃপর কিছুক্ষন কথপোকথন চললো। এরই মধ্যে সুমন ঠিকানা টা নিয়ে নিলো, (এতক্ষন যার সাথে কথা হচ্ছিলে সে হল রুপার বাবা।তিনি একজন দিনমজুরি রিকশাচালক।)। আগামী বুধবার সুমন ঠিকানা অনুযায়ী বাসায় চলে গেল। বাসায় যেয়ে দেখলে খড়ের একটা চৌচালা। রুম একটা। চালের এক পাশ থেকে কিছুটা ধসে ও পড়েছে। সুমন বাইরে থেকে ডাক দিলো.. বাড়িতে কেউ আছেন?? ঘর থেকে রুপার আম্মু বেরিয়ে এলো। সুমন: আসসালামু্ অলাইকুম আন্টি আন্টি: অলাইকুম আসসালাম।  আসো   বাবা আসো। তোমার আঙ্কেল আমাকে ফোনে সব বলেছে । কথাটা শেষ না হতেই রুম থেকে রুপা বেরিয়ে এলো। রুপা কে কাছে টেনে বললো.. এই যে আমার মেয়ে ক্লাস তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ে। একেই পড়াতে হবে।। সুমন: জ্বি আন্টি। আন্টি: তো বাবা তোমাকে কত টাকা দিতে হবে পড়ানোর জন্য। সুমন কি বলবে বুঝতে পারছে না।শুধু নিরবাক হয়ে রুপার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ আন্টির কথায় চমকে সুমনের টনক নড়লো।
সুমন: আন্টি। কি বলবো বুছতে পারছি না।
 আপনার খুশি। যেটা মন চাই ওটাই দিয়েন। আন্টি: আমি 500 টাকা দিতে পারবো তোমাকে বাবা।
সুমন: আচ্ছা আনটি (আশ্রু সিক্ত চোখে বললো)
 সুমন আচ্ছা আন্টি আমি আগামিকাল থেকে পড়াতে আসবো।
 আন্টি: আচ্ছা বাবা।
সুমন রুপার বাসা থেকে নিজ বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।আর ভাপতে লাগলো এত কম টাকায় কিভাবে কিভাবে আমার খরজ মিটবে। আমি তো মনে করে ছিলাম একটা স্টুডেন্ট, বাসায় পড়াতে যাওয়া হয়তো একটু বেশিই দিবে। কিন্তু… এটা কি হলো(হাটছে আর ভাপছে) অতঃপর এসব কথা ভাপতে ভাপতেই বাসায় পৌছালো। ক্লান্তি মাখা চেহারা নিয়ে রুমে শুয়ে পড়লো। হঠাৎ সুমনের আম্মু এসে সুমন কে দেখে বললো। কি রে বাবা– কখন আসলি—- এইতো আম্মু এখন। তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনও?? কই কিছু হয়নি আম্মু……… আজ না কোথায় টিউশনির জন্য গিয়েছিলি সেটা কি হলো?? হ্যাঁ আম্মু টিউশনি টা করবো আমি।
সুমন: কিন্তু….

আম্মু :কিন্তু কি বাবা..?
সুমন: আম্মু টাকা কম দিবে…
আম্মু: তাহলে…..??
সুমন: তারপর ও পড়াবো আম্মু।একটা কারনে পড়াবো আম্মু
 আম্মু:কি কারন…??
সুমন: আম্মু আমার স্টুডেন্টের নাম রুপা।জানো আম্মু রুপার দিকে যখন তাকায়েছিলাম তখন সুমাইয়ার কথা খুব মনে পড়ছিলো।আমার ছোট্টবোনটা যদি আজ বেঁচে থাকতো, তাহলে হয়তো ও ও আজ রুপার মতো হতো।কি মায়াভরা মিষ্টি মুখ রুপার, যেনও ঠিক আমার বোনের মতো। বনটা আমাদের ছেড়ে চলে গেল ও কেন ও আম্মু.. কেন চলে গেল?? কথা গুলা বলতে বলতে সুমন কেঁদে ফেললো সাথে সুমনের আম্মু ও। নিজেকে সামলিয়ে বললো বাবা কাদিস না।তুই আছিস, ,এখন তোকে নিয়েই আমি  বেঁচে   আছি। কিছুক্ষন চুপ থাকার পর.. সুমনের আম্মু বললো আচ্ছা বাবা যা হাতমুখ ধুয়ে আয়, ,, ফিঠে বানিয়েছি খাবি আয়। সুমন : আচ্ছা আম্মু(অশ্রু সিক্ত কন্ঠে বললো) …..আজ রবিবার আজ থেকে রুপাকে পড়াবে সুমন, এই উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। সুমন যখন রুপাদের বাসায় পৌছে রুপা কে ডাক দিলো। রুম থেকে বেরিয়ে আসলো রুপা। রুপা: আসসালামু-অলাইকুম স্যার সুমন: অলাইকুম-আসসালাম,কেমন আছো রুপা? রুপা: ভালো আছি স্যার,এটা বলেই স্যার কে রুমে নিয়ে গেল। বই নিয়ে পড়তে বসলো।
সুমন: রুপা..
রুপা: জ্বি স্যার,
সুমন: রুপা তুমি আমাকে স্যার বলবে না ভাইয়া বলবে কেমন
রুপা: কিন্তু কেনও স্যার?
সুমন: আমি বলতে বলছি তাই।
রুপা: আচ্ছা স্যার
 সুমন: আবার স্যার
রুপা: আচ্ছা ভাইয়া।
 সুমন: মিষ্টি হাসি নিয়ে বললো এইতো আমার লক্ষী বোন। ..হুম এবার বই বের করো। রুপা বই বের করলো। কবিতার বই। সুমন বই থেকে একটা কবিতা আবৃতি করতে বললো। রুপা খুব সুন্দর করে আবৃতি করলো। সুমন আবৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল। বুঝতে পারলো রুপা টেলেন্ট। যদি একটু ভাল করে পড়ায় আর যদি নিজেও ভাল করে বাসায় মন দিয়ে পড়ে তাহলে একদিন সে খুবই ভালো রেজাল্ট করবে। এই স্বপ্ন টা নিয়েই সুমন রুপা কে পড়াতে লাগলো।রুপা ও মন দিয়ে পড়তো। প্রতি পরীক্ষাতে রুপা ভালো রেজাল্ট করলো।রুপার এই উন্নতি দেখে রুপার মা -বাবা খুব খুশি হলো। রুপাকে পড়াতে পড়াতে সুমন আর ও দুই টা টিউশনি পাইছে। সুমনের ফর্মফিলাপ এর টাকার টেনশন টা রইলো না। নিজের লেখাপড়া আর টিউশনির ব্যাস্ততার প্রহর নিয়েই সুমন এখন ভালই আছে।
প্রতিদিনের মতো আজ ও সুমন রুপা কে পড়াতে এসেছে। কিন্তু বাড়িতে পৌছাবার পর জানতে পারলো রুপার অনেক জ্বর। রুপার আম্মু বললো আজ হয়তো রুপা পড়তে পারবে না অনেক জ্বর। সুমন রুপার কপাল এ হাত দিলো।দেখলো অনেক জ্বর। রুপা ঘুমের ঘোরে শুধু বাবা বলে ডাকছে।রুপার বাবা তখনও বাসায় ফেরেনি। সুমন রুপার জ্বর দেখে ভয় পেলে গেল, নিজের সেই ছোট্ট বোনের কথা মনে পড়তে লাগলো।সুমন দেরি না করে ডাক্তার ডাকার কথা বললো।কিন্তু রুপার আম্মু বলছে এখান থেকে ডাক্টারের বাসাটা অনেক দুরে। কথাটা শেষ না হতেই সুমন দ্রুত বাইসাইকেল টা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। ডাক্তার কে সাথে করে নিয়ে এলো। ডাক্তার রুপা জ্বর পরীক্ষা করে ঔষধ দিলো
এবং ডাক্তার বললো নিয়মিত যেন ও ঔষধ গুলা খাই। ডাক্টারের ভিজিট টা রুপা আম্মু দিতে গেলেই বাধা দিলো সুমন। সুমন বললো আন্টি আমি দিয়ে দিব।আপনি কোন চিন্তা করবেন না।আপনি রুপার পাশে থাকেন। এই কথা বলেই ডাক্টারের ব্যাগ টা নিয়ে ডক্টার কে সামনে আগিয়ে দিলো। ডাক্টার চলে গেলেন।সুমন খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে আনমনে কি যেন ভাবতে লাগলো। সুমনের মনে কেমন জানি প্রশান্তি বিরাজ করছে। কেননা রুপা কে সুমন শুধু স্টুডেন্ট-ই ভাবে না।রুপা কে ছোট্ট বনের মতো ভালবাসে। ছোট্ট বোনটি কষ্ট করবে আর ভাই কি সেটা মানতে পারে ! না পারে না ,ছোট্ট বোনটির জন্য কিছু করতে পারায় মনের মধ্যে অনেক শান্তি পাচ্ছে। একটু একটু করে রুপা সুস্থ হয়ে উঠলো। আগামিকাল থেকে আবার পড়তে পারবে সে।
রুপা: মা… ওমা… একটা কথা জানো??
রুপার আম্মু:  কি মা..?
রুপা: জানো মা, ভাইয়াটা  না অনেক ভালো, আমাকে অনেক সুন্দর করে পড়াগুলা বুঝিয়ে দেই। একটু ও বকা দেই না।
রুপার আম্মু: হুম তোমার ভাইয়াটা অনেক ভালো মা,আর আমার এই যে লক্ষী মেয়েটা সেও অনেক ভালো(রুপার আম্মু বললো)
মা ও মেয়ের কথোপোকথন শেষ না হতেই বাইরে থেকে ডাক আসলো রুপার- রুপা দৌড়ে চলে এলো। বাইরে এসে দেখলো ভাইয়। রুপা: ভাইয়া কে সালাম দিয়েই বললো।ভাইয়া আমি সুস্থ হয়ে গেছি।আমি আজ থেকেই পড়বো ভাইয়া(চাঞ্চল্য কন্ঠে বললো রুপা)
সুমন রুপার মুখে মিষ্টি হাসিটা দেখে নিজ হাসিমুখ নিয়ে বললো.. হ্যাঁ আমরা আজ থেকেই পড়বো আমার লক্ষী বোনটি। আবার ও শুরু হলো রুপাকে পড়ানো। সুমন যে বিষয় গুলা পড়াই সব গুলা রুপা মন দিয়ে পড়ে।
ডিসেম্বার মাসে রুপার ফাইনাল এক্সাম। সুমন খুব সুন্দর করে রুপা কে পড়াতে থাকে, যেনও রুপা এবার ফাস্ট হয়। নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া রুপা নামক মেয়েটি ও যেন ভাল রেজাল্ট করে ,একদিন অনেক বড় হয়ে দিনমজুরি রিকশাচালক বাবার দুঃখ ঘুচিয়ে মুখে হাসি ফুটাতে পারে
কেননা মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়া উঠা সুমন জানেযে,সন্তানের ভাল রাাখার তাগিদে বাবা মা কতটা কষ্ট করে। প্রতেকটা মা বাবা ই চাই তার সন্তান যেনও মানুষের মত মানুষ হতে পারে।যাকে নিয়ে গব’ করা যাই। ঠিক তেমনি করে রিকশাচালক আরিফুল মিয়া সেই স্বপ্ন দেখে।তাই তিনি মন থেকে মেয়েকে কে লেখাপড়া করাতে চেয়েছে।
আগামিকাল রুপার গণিত পরীক্ষা।সুমন খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছে রুপা কে। রুপা ও মন দিয়ে পড়ছে। এক ঘন্টা পর সুমনের পড়ানো শেষ হলো। রুপাকে বললো সুন্দর করে পরীক্ষা দিবে কেমন।
রুপা: আচ্ছা ভাইয়া(মিষ্টি হাসি দিয়ে)
কিছুদিন পর রুপার পরীক্ষা শেষ হলো। এবার অপেক্ষার পালা,কাঙ্খািত রেজাল্টের
রেজাল্টের দিন  রুপা স্কুলে পৌছালো। ক্লাস ওয়ান থেকে রেজাল্ট ঘোষনা শুরু হলো, অপেক্ষার প্রহর টা নিকটে আসলো, এবার তৃতীয় শ্রেণী থেকে চতুথ` শ্রেণী তে যারা উঠবে তাদের রেজাল্ট ঘোষনা করা হবে। প্রথমে যে নামটা উচ্চারিত হলো সেই নামটা আর কারো নাই।সেই নামটা হলো রুপা। রুপার রেজাল্ট শুনে আনন্দে বাসার দিকে ছুটতে লাগলো।
বাসায় পৌছে
রুপা : মা ও মা… মা গো কই তুমি ?
 রুপার আম্মু: কি হয়ছে রুপা ? আসতেছিতো
রুপা : মা গো মা,, জানো মা আমি ফাস্ট হয়েছি
কথাটা শুনেই রুপার আম্মুর চোঁখে আনন্দের অশ্রু ঝরতে লাগলো।মেয়ে কে বুকে জড়িয়ে যেন তিনি চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে বললেন, মা.. আজ আমি অনেক খুশি রে মা।তুই তোর স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে গেছিস।তোকে আর ও অনেক বড় হতে হবে মা। মানুষের পাশে এসে দাড়াতে হবে। পারবি না মা বল? রুপা:– হ্যাঁ মা আমি পারবো।
 রুপার আম্মু সুমন কে ফোন দিয়ে অতি আনন্দের সাথে রেজাল্ট জানালো। সুমন ও আজ অনেক খুশি, কেননা সবার পরিশ্রম আজ স্বাথ`ক হয়ছে। পরদিন সুমন রুপাদের বাসায় গেলো, সুমন কে দেখা মাত্রই ভাইয়া ভাইয়া বলে দৌড়ে এসে বললো। ভাইয়া আমি ফাস্ট হয়েছি। কথাটা শোনা মাত্রই দুজনের মুখেই হাসি। আনন্দের এক সুখময় প্রতিচ্ছবি বিরাজ করছে। অতঃপর সুমন রুপা কে একটা কলম উপহার দিলো এবং বললো, লক্ষী বোনটি আমার এই কলম টা তুমি চালাবে সত্য প্রকাশে ,চোখের সামনে বই এর পাতায় থাকা মনুষত্বের বিরল বানী ছড়িয়ে দিবে এ বিশাল ধারায়।।
সুমন আজ অনেক খুশি আজ তার প্রাপ্প সম্মান সে পেয়েছে। হোক না কম টাকা কিন্তু স্টুডেন্টের কাছ থেকে ফাল ফলাফল পাওয়ার মতো এত আনন্দের আর কি হতে পারে! সুমন এর ও সামনে এক্সাম, মনে একটি টিউশনি লাইফের সফলতার গল্প আর নিজ স্বপ্ন পূরনে প্রানবন্ত চেষ্টাই ছুটে চলেছে বহুদুর——-
হয়তো আরো অনেক টা সময় টিউশনি লাইফের গল্প জমা হবে।জমা হবে কিছু সৃতি থাকবে কিছু সফলতার গল্প।।
জাহাঙ্গীর আলম অণ’ব
কলেজ:সরকারি এম এম কলেজ।
ঠিকানা: চৌগাছা, যশোর।  

Please follow and like us:

Check Also

সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের উদ্যোগে ইউনিট দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোটারঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে ইউনিট দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।