সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দিব্যি সুস্থ রয়েছেন, তবুও বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ের পর নিজের কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে সাহায্য চেয়ে মাসে মোটা টাকা রোজগার করেন। পুলিশের তল্লাসিতে তার ব্যাগে পাওয়া গেল লক্ষাধিক টাকা। নাম তার ফরিদ উদ্দীন (৫২)। বাড়ি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার বলেশ্বরী গ্রামে।
জানা গেছে লোকটি গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে তার একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে সাহায্যের আবেদন করেন।
সাতক্ষীরা শহরের বুশরা হাসপাতালের পরিচালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল মসজিদে আসরের নামাজ শেষে ঈমাম সাহেবের আহবানকে শ্রদ্ধা রেখে তাকে কিছু টাকা দান করি। মসজিদের অন্যান্য মুসল্লিরাও দান করেন। এশার নামাজে ওই একই ব্যক্তি শহরের আহ্ছানিয়া জামে মসজিদের ঈমাম সাহেবের অনুমতি ছাড়াই নামাজ শেষ হতে হতেই নিজে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আবেদন করেন।
তাতে মুসল্লীগণ বিরক্ত হলেও তাকে কিছু বলেননি। আমিও বাকি নামাজ শেষে বাইরে এসে ওনাকে প্রশ্ন করি আপনার কি সমস্যা? তিনি জানালেন তার একটা কিডনি নষ্ট। আমি ওনাকে বললাম কালেকশন শেষে আমার হাসপাতালে আসেন আপনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ওনার পাশে আমার হাসপাতালে একজন ওয়ার্ড বয় দাঁড়িয়ে দেই। কিছুক্ষণ পরে ওনাকে হাসপাতালে আনলে আমি আমার প্যাথলজি ল্যাবে পাঠাই।
তিনি সুস্থ আছেন বলে টেস্ট করতে অসম্মতি জানান এবং আমাকে গালমন্দ করতে থাকেন। তাকে পুলিশে দিতে চাইলে তিনি চরম উত্তেজিত হয়ে যায়। আমার সন্দেহ আরো ঘণীভূত হয়। অবশেষে জাতীয় সেবার ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয় রাতেই।
তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তার ব্যাগ চেক করে ১ লক্ষের বেশি কিছু টাকা পেয়েছেন তার কাছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানিয়েছেন, লোকটি যা করেছে সেটা অন্যায়। এমনভাবে প্রতারণা করার জন্য পুলিশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেন তিনি জানান। ওসি আরো জানান ওই ব্যক্তির নাম ফরিদ উদ্দীন (৫২) তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার বলেশ্বরী গ্রামে।