জেএসডি সভাপতি আ স ম রব বলেছেন- গুম, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে নিষেধাজ্ঞার যে ‘তকমা’ সরকার অর্জন করেছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এই নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। ভবিষ্যতে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে সরকার বিরত না থাকে এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় তাহলে আরো বহু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আওতা বৃদ্ধি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ‘গুম, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: সংকটে রাষ্ট্র’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় সভাপতির ভাষণে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।
জেএসডি আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক,অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া এবং শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিকারে আ স ম রব ৭ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
প্রস্তবনার মধ্যে আছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা, সংঘটিত গুম-খুনের শিকার ও ভুক্তভোগী পরিবারবর্গের পাশে সহানুভূতির সঙ্গে দাঁড়ানো এবং তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, জাতিসংঘ, দাতা দেশ এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহ কর্তৃক বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে উত্থাপিত সকল অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের পাঠানো অভিযোগসমূহের জবাব এবং তাদেরকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য দ্রুত অনুমতি প্রদান করা, সকল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি কাজে সম্পৃক্তকরণ নিষিদ্ধ করা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন বিচারব্যবস্থা পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, গুরুতর মানবাধিকার লংঘন এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ, সর্বোপরি গণতন্ত্র হত্যার দায়ে সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা।
আলোচনা সভায় মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ক্ষমতাকে কেউ চিরস্থায়ী করতে পারে না। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে হবে। সাইফুল হক বলেন, কোনো সভ্য সমাজে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না। অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন বাংলাদেশে যে অস্বীকারের সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে