অভয়নগরে তালাকপ্রাপ্ত দম্পতির মামলা যুদ্ধ, দিশেহারা দু’পরিবার

সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর:

যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ী গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত এক দম্পতির উভয়ের বিরুদ্ধে অর্ধডজনের ও বেশি মামলা, মামলার স্বাক্ষীরা জানেনা কখন তারা স্বাক্ষী হয়েছে, এলাকাবাসী বলছে প্রতিপক্ষকে হটানোর জন্যই এত মামলা। জানা গেছে, বাশুয়াড়ি গ্রামের মৃত আজিত শেখের কন্যা মিলি বেগম (৩৫) ও মৃত শরিতুল্য’র ছেলে শরিফুল(৪০) তাদের বিয়ে হয় ৫০ হাজার টাকা দেন-মোহর ধার্য্যে ৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে, বিয়ের পরপরই শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ে শরিফুলসহ তার দুই সহযোগির নামে মিনি বাদি হয়ে যশোরের অভয়নগর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রি আদালতে একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং- সি আর-৪৬৪/১৭, ধারাসমূহ-৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯। তাছাড়া মিনি তার স্বামীর নামে যৌতুক আইনের ৪ ধারায় আরো একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং- সি আর ৩০০/১৭। ২০১৮ সালের প্রথমেই তাদের সংসার তালাকের মাধ্যমে ভেঙ্গে যায়। তালাকের পর শরিফুল বাদি হয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি ও মার্চ মাসে যশোরের নির্বাহী আদালতে দুটি মামলা দায়ের করে মামলা নং- পি- ১২/১৮ এবং ১৮৬/ ১৮ উভয় মামলায় আসামী হয় মিনি পক্ষের ১৫ জন। এতে মিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আরো ৮ জনকে আসামি করে একই মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসে যশোরের নির্বাহী আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং পি- ১৬২/১৮, ধারা ১০৭,১১৪,১১৭ (সি) । মিনির হামলার স্বীকার হয়ে ১৩ আগষ্ট ২০১৮ তারিখে জুডিশিয়াল আদালতে শরিফুলসহ ৭ জনকে আসামী করে আবার ও মামলা করে মামলা নং- সি আর ১৯/১৮। যে মামলাটি এখন ক্রিমিনাল রিভিশন হিসাবে যশোরের দায়রা জজ আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা নং-৯৫/১৮। এদিকে দেন-মোহর খোরপোস পাওয়ার জন্য যশোরের অভয়নগর সহকারি জজ আদালতে মিনি বাদী হয়ে একটি পারিবারিক মামলা দায়ের করে মামলা নং ১২/১৯। পারিবারিক আদালতের মামলার রায় মিনির কাছে পৌছালে আবার ও পারিবারিক জারি-মামলা করে মিনি। মামলা নং-১০/২১। তালাক হওয়ার পরও উভয়ে প্রায় অর্ধ-ডজন মামলা চলমান রেখেছে। এ বিষয়ে শরিফুল পক্ষের একাধিক মামলার স্বাক্ষী মশিয়ার রহমান শেখ জানালেন, কাউকে না জানিয়ে ওরা আমাকে মামলার স্বাক্ষী করে। এ বিষয়ে শরিফুল জানালেন, মিনিকে সে তালাক দিয়েছে তবে কয়েকটি মামলা সে করেছে তা আদালতে চলমান রয়েছে। মিনি বেগম জানালেন, সে অন্য জায়গাতে সংসার করছে তবে শরিফুলের করা মামলা চালাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে তার(মিনি’র) পরিবার। সচেতন মহল দাবি করেছেন, এখনই সময়, যদি প্রতিবেশিরা একত্রিত হয়ে বসে তালাক প্রাপ্ত দস্পতির বিষয়ে সমাধানের জন্য আলোচনা করে তবেই সমাধান হতে পারে।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।