সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর-পূর্ব জনপদের আমতলা থেকে নওয়াপাড়ার ভৈরব সেতু পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। যাতায়াতকারি জন-সাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। উপজেলার পূর্বপ্রান্তের ইউনিয়ন সিদ্দিপাশা, সেখান থেকে উপজেলায় কোনো কাজে আসা সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছে মানবেতরভাবে। বৃদ্ধি পেয়েছে ভাড়া। গাড়ির চালকদের অভিযোগ, রাস্তা ঝুকিপূর্ণ, জীবন হাতের তলায় রেখে চলতে হয় রাস্তা। রাস্তার কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
গত ২৮ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা প্রকৃত পক্ষেই চলাচল অনুপযোগী। প্রায় ৫ বছর যাবত এই অচলাবস্থা। যদিও তা বিভিন্ন সময়ে মেরামত করা হয়েছে এই মেরামতে স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি এলাকাবাসীর। নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবলুর রহমান বলেন, তিনি বিদ্যালয়ে যেতে আসতে ২০ মিনিটের রাস্তা প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ব্যয় করে যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনার শেষ নেই, কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তে রূপ নিয়েছে, যা যে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচলে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার উপজেলার ভৈরব উত্তর-পূর্ব জনপদের মানুষ বিভিন্ন মালামাল বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে নওয়াপাড়ার হাটে যেত কিন্তু রাস্তার এই করুণ দশা তা প্রায় বন্ধের পথে। ব্যবসার উদ্দেশ্যে যারা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মালামাল ক্রয় করে নওয়াপাড়ার বিভিন্ন আড়তে বিক্রয় করতো তা বিঘ্নিত হচ্ছে চরমভাবে। ধান, গম, পাট, তরকারি, মাছসহ নানা ধরনের পণ্য পরিবহনে দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। যদিও প্রায় বছর দশেক পর রাস্তা পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে তার কাজের গতিতে হতাশ সাধারণ মানুষ। প্রায় দেড় বছর আগে কাজ শুরু হলেও রাস্তাটির বেড তৈরি শুরু করতে পারেনি কতৃপক্ষ।
আমতলা টু নওয়াপাড়া খেয়াঘাট ট্রেকারে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাস্তার এই অবস্থার কারণে। ট্রেকার মালিক শাহীন জমাদ্দার বলেন, আমি নিজেই নিজের গাড়ির চালক হিসেবে গাড়ি চালাতাম তা বন্ধ করে দিয়ে বসে আছি, পর্যাপ্ত যাত্রী থাকলেও তারা গাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে উঠতে চায় না। বিকল্প রাস্তাও নেই সেখান দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। রাস্তার এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্ষতির একমাত্র কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে দ্রুত রাস্তা বিনির্মানের গতি বৃদ্ধি এলাকাবাসীর দাবী।