মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর): শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের উদ্যোগে বাক্সকল ও পাইপ (নাইনটি) অপসারণের জন্য মহিলাদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রমজাননগর ইউনিয়নের মাদার, চুনকুড়ি ও মালঞ্চ নদী থেকে লবণ পানি উত্তোলন করে চিংড়ি চাষ করা হয়। উপকূলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী ভাঙন, লবণাক্ততাসহ নারীদের বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয়। সে কারণে সুরক্ষিত বেড়িবাঁধ রক্ষায় ৪ ফেব্রæয়ারি ২০২২ সকাল ১১টার সময় পৃথকভাবে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগরের সোরা গ্রামে বাক্সকল, ভেটখালী গ্রামের বাক্সকল, মিরগাং গ্রামের বাক্সকলগুলো অপসারণের দাবিতে মহিলারা মানববন্ধন করেন। তারা দাবি করেন, উপকূলের বেড়িবাঁধ ছিদ্র বা বাঁধ কেটে অবৈধভাবে পাইপ ও বাক্সকল নির্মাণ করে পানি বিক্রি করে আসছে এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল।
অপরিকল্পিতভাবে পাইপ ও বাক্সকল নির্মাণের ফলে বেড়িবাঁধ কর্তন বা ছিদ্র করার কারণে নষ্ট হচ্ছে উপকূল অঞ্চল। আইলার শুরু থেকে পরপর অনেকগুলো প্রাকৃতিক দূর্যোগে দূর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে থাকে। ফলে দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে মিষ্টি পানির আধাঁর। বাক্সকলের পানি বিক্রির টাকা উত্তোলনের ৩ এর ১ অংশ নাকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের পকেটে যায়। বেতনের পাশাপাশি তারা এটাও একটা আয়ের উৎস তাদের। এমন মন্তব্য করছেন নারীরা। আদৌ উপকূলের বেড়িবাঁধ কর্তন বা ছিদ্র করে অপরিকল্পিতভাবে পাইপ ও বাক্সকল নির্মাণের কতটা বৈধতা তা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ২০০৯ সালের আইলার পর থেকে পাইপ ও বাক্সকল নির্মাণ সম্পন্ন অবৈধ। তবে পানি নিষ্কাশনের কথা বিবেচনা করে এতোদিন অপসারণ করা হয়নি। তরুণ সমাজসেবক ও জলবায়ু পরিষদের সদস্য আবু দাউদ বলেন, আমাদের ইউনিয়নের বেড়িবাঁধগুলো অপরিকল্পিতভাবে ¯øুইস গেট করে চিংড়ি ঘের করার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দাবি সুরক্ষিত বেড়িবাঁধ। এখানে কোন বক্সকল পাইপ অপসারণ করতে হবে। উপকূল রক্ষার সুরক্ষিত বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই।