নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুই ব্যক্তির ১৬ বছর পূর্বে ক্রয় করা জমি জবর-দখলের চেষ্টা করছে একটি চক্র এবং ওই জমির পাকা প্রাচির ও লোহার গেটের তালা ভেঙে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা।
২০০৬ সালে পলাশপোল এলাকার মৃত আব্দুল বারী সরদারের ছেলে মো. আব্দুস মাজেদ সরদারের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিম উদ্দিনের পুত্র মাওলানা মো. আব্দুল ও একই এলাকার মৃত-আব্দুস সোবহানের পুত্র মো. অহিদুজ্জামান। ভূয়া পাওয়ারনামাকারী জবর-দখলকারীদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ২/২২ মামলায় ১৩.৩৩ শতক জমির উপর গত ৫-১-২২ তারিখে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয়। ছুটির দিন ভোর বেলা রাজমিস্ত্রি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পাচিল দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে। এ ব্যাপারে জমির মালিক সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিম উদ্দিনের পুত্র মাওলানা মো. আব্দুল মান্নান ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের পুত্র মো. অহিদুজ্জামান সদর থানায় অভিযোগ দিলে সদর থানার এসআই আব্বাস সর্ঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জবর-দখলে বাঁধা প্রদান করে এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত লোহার গেট, বড় হাতুড়ি ও ছেনি জব্দ করে। এসময় রসুলপুরের মো. আকবর আলী, পুরাতন সাতক্ষীরার মো. আব্দুল গফুর, মৃত তোজাম্মেলের পুত্র মো. মামুনুল, পলাশপোল এলাকার মো. আবু মুসা ও মুন্সিপাড়া এলাকার মো. আব্দুস সালাম ওরফে গুটি সালাম তাদের স্বপক্ষে কোন কাগজ-পত্রাদি দেখাতে না পারায় শুক্রবার বেলা ১১টায় সদর থানার ওসি মো. গোলাম কবির সদর থানায় দুই পক্ষকে স্বপক্ষের কাগজপত্র সাথে নিয়ে আসার আহবান জানান। কিন্তু জবর-দখলকারী ব্যক্তিরা থানায় যেতে ব্যর্থ হয়। রেকর্ড সূত্রে ওই জমির মালিকগণ ওয়ারেশ সুত্রে তাদের জমি বণ্ঠননামার মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রায় সব জমি বিক্রি করে দিয়েছে। ঐ জমির সাবেক মূল মালিকদের কোন দাবী নেই। অথচ কিছু অসাধু দালাল ভূয়া পাওয়ার নেওয়া ব্যক্তিরা জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।