শপথ নিয়েই আশাশুনি উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা তাদের প্রথম দাবী আশাশুনি মানিকখালি ব্রীজের উপর থেকে অবৈধ টোল আদায় বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর কাছে স্মরকলিপি দিয়েছেন। বুধবার সকালে আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউপির চেয়ারম্যানরা জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ুন কবির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ শেষে চেয়ারম্যানরা স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আশাশুনি উপজেলা ভাঙ্গন কবলিত ও দূর্যোগ প্রবন এলাকা। এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে আশাশুনি উজেলার সাংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ ফ মা রুহুল হক এমপির প্রচেষ্ঠায় আশাশুনির খোলপেটুয় নদীর উপর মানিকখালি ব্রীজটি নির্মিত হয়। ব্রীজটি নির্মাণ ও উদ্বোধনের সময় টোল আদায়ের কথা ছিল না। ব্রীজিটি উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তখন তিনি বলেছিলেন ব্রীজটি সম্পূর্ণ টোলমুক্ত থাকবে।
কিন্তু সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রায় দেড় বছর ধরে ইচ্ছামত টোল আদায় করছে। যে টাকার অধিকাংশ ভাগ বাটোয়ারা হয় সরকারি কোষাগারে নাম মাত্র অর্থ প্রদান করা হয়। চেয়ারম্যানর দ্রুত আশাশুনি উপজেলার অবহেলিত মানুষের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত টোল বন্ধ করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্মারকলিপি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মাহবুবুল আলম ডাবলু, দুর্গাপুরের শেখ মিরাজ আলী, আনুলিয়া ইউপির রুহুল কুদ্দুস, কাদাকাটির দীপঙ্গর সরকার দ্বীপ, বড়দলের জগদীশচন্দ্র সানা, আশাশুনি সদরের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হোসেন প্রমুখ।