উপজেলা প্রতিনিধি (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার সকলের পরিচিত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত পাগল আসাদের পৈত্রিক জমি নিয়ে চলছে ব্যাপক পাগলা বাজী। অভিযোগ, নিরক্ষর আসাদের সব জমি লিখে নিয়েছে তার আপন দুইবোন,পরে জমি হাত বদল হয়েছে আরো কয়েক বার, প্রতিবারই হয়েছে মামলা। একমাত্র কন্যা জমি পেতে মরিয়া, সর্বশান্ত হয়ে পাগলের প্রায় সেলিনা বেগম, ঘুরছে দারে দারে। ঘটনাটি ঘটেছে অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রামে। জানা গেছে, প্যরালাইসিসে আক্রান্ত পাগল আসাদ অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী গ্রামের মৃত আশরাফ শেখের ছেলে। ডাক্তারের রির্পোট ও চেয়ারম্যানের লিখিত সনদের মাধ্যমে জানা গেছে, আসাদ ৯০ এর দশকে মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ২০০৫ সালের পরে এসে প্যরালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে শয্যাসায়ী হয়ে যায়। আসাদের এক মাত্র কন্যা সেলিনা বেগম (৬৫) দাবি করেছেন, তার স্বামী হত দরিদ্র হওয়ার কারনে পিতা আসাদ ফুলতলা উপজেলার উত্তরড়িহিতে তার (আসাদের) বোনের নিকট চলে যায়। পিতাকে ফেরত নিতে তখন কার সময়ে সেলিনা যশোরের বিজ্ঞ নির্বাহী আদালতে একটি মামলা করে মামলা নং-পি-১৫৬৭/১০ ধারা ১০০। সেলিনা আরো জানান, সুরাতুন্নেছার স্বামী মুজাফ্ফারকে আসাদ সাজিয়ে মৃত্যুর ৫ মাস পূর্বে গোপনে সুরাতুন্নেছা ও জাহানারা পাগল আসাদের সমস্ত জমি হেবা দলিল বুনিয়াদে লিখে নেয়। অভয়নগর রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল নং-৬৩৩ তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১। মৃত্যু সনদ অনুযায়ী আসাদ শেখ মারা যায় ০৭ জুলাই ২০১১ তারিখে। সেলিনা বেগম গোপন দলিলের কথা জানতে পেরে ২০১৭ সালে ৬৩৩ নং হেবা দলিল রদ-রহিত করার জন্য অভয়নগর সহকারি জজ আদালত যশোরে একটি মামলা করে, মামলা নং দেওয়ানী ৪২/১৭ তারিখ ১৬ মে ২০১৭, যে মামলা এখন চলমান রয়েছে। উক্ত জমি সুরাতুন্নেছা ও জাহানারা বেগমের লোকজন দখলে নিতে আসলে সেলিনা বাদি হয়ে যশোরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার অভিযোগ এনে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে, মামলা নং পি- ৯৮৯/২০ তারিখ ০৪ ডিসেম্বর ২০২০। মামলার পুলিশ রির্পোট অনুযায়ী দেখা গেছে, জমি সেলিনার দখলে রয়েছে। কাগজ পত্র অনুযায়ী দেখা গেছে আসাদের দুবোন সুরাতজান ও জাহানারা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ও নালিশী জাল-জালিয়াতিকৃত জমি ৭০৭১/২০ ও ৬৫৫৭/২০ নং কবলা দলিলের মাধ্যমে সিংগাড়ী নিবাসী জগন্নাথ,বলরাম,কৃষ্ণ ও ধনির কাছে মোট জমির ৯২শতক বিক্রি করে দিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে জগন্নাথ দিং জমি ক্রয় করে উক্ত জমি দীর্ঘ মেয়াদী মাছের ঘেরের জন্য লিস দেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।