দেবহাটা থানা পুলিশের তৎপরতায় সদ্য দিনেই ২ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মায়ের সাথে রাগ করে উত্তর কুলিয়ার মফিজুল ইসলামের মেয়ে মরিয়ম (১৩) বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে যায়।
সাথে তার প্রতিবেশী কামরুল ইসলামের মেয়ে ইতি আক্তার খুশি (৯) নিয়ে যায়। তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্যোশে রওনা করেন। পরিজনরা বহু খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পুলিশের দারস্থ হন। থানা পুলিশ জিডির সুত্র ধরে তদন্তে নেমে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেবহাটা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মাদ এবং গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়।
দেবহাটা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মাদ জানান, মফিজুল ইসলামের জিডির সুত্র ধরে তাদের খোঁজ শুরু করি। একপর্যায়ে কিশোরীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের লোকশন ও তাদের অবস্থানকৃত পরিবহনের সুপারভাইজারের নাম্বার সংগ্রহ করি। পরে সুপারভাইজারের সাথে কথা বলি এবং নিকস্থ থানাকে বিষয়টি অবহিত করি। এসময় ঐ থানার ওসির নির্দেশে একটি দল বাসটির গতিরোধ করে কিশোরীদের উদ্ধার করে। পরে আমরা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছে তাদের বুঝে নিয়ে ফিরে আসি। পরে তাদের পরিবারে হস্তান্তর করা হয়।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, দুইজন কিশোরী নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করে পরিবার পরে আমাদের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় তাদের উদ্ধার করি। পরে নিখোঁজ ভিকটিমদের তাদের পরিবারের হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত কিশোরীদের উদ্ধার করতে পারায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলকাবাসী। একই সাথে পরিবারের স্বজন ফিরে আসায় তাদের মনে স্বস্থি ফিরে এসেছে।