মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সুজা মেমোরিয়াল কলেজে মেয়েরা ভর্তি হতে হলে হিজাব ও ওড়না মাথায় না দিয়ে ছবি তুলে দিতে হবে। তা না হলে কোনো শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে পারবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলেজের অফিস সহকারী ফিরোজ মিয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অভিভাবকসহ সব সচেতন মহল এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কলেজের অফিস সহকারীর হিজাব বিরোধী নির্দেশনার এক ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়- কলেজে ভর্তিচ্ছু এক মেয়ে শিক্ষার্থীর ভাইকে হিজাব পরা ছাড়া ছবি তুলে জমা না দিলে কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না বলে কঠোর নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর ভাই অন্য কোনো কলেজে এ নিয়ম নেই বলে প্রতিবাদ করলে অফিস সহকারী ভর্তি বাতিলের কথা বলেন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে লংলা ইন্টারন্যাশনাল এডুকেয়ারের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, হিজাব নিয়ে সারা বিশ্বে যখন হুলুস্থুল চলছে, সেখানে শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজে হিজাব বা ওড়নাবিহীন ছবি তোলার নির্দেশ রীতিমতো হতবাক হওয়ার মতো। এ ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অফিস সহকারী ফিরোজ মিয়া বলেন, হিজাব সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছিলাম তা আমার ভুল হয়েছে। আমি হিজাব এবং ইসলামপন্থী মানুষ। আমিও একজন মানুষ, মানুষ হিসেবে শয়তানের প্ররোচনায় আমি ভুল বক্তব্য দিয়েছি। আমার বক্তব্যের জন্য আল্লাহতালা ও সর্বসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আর ভবিষ্যতে এ রকম ভুল করব না।
সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ম. মোর্শেদুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, অফিস সহকারী যে নির্দেশনা দিয়েছেন এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত মতামত। গভর্নিং বডির সঙ্গে কথা বলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।