শাহীন আলম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মঘণ্টা সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং সপ্তাহে ৬ দিন কর্মদিবস কার্যকর করাসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে কর্মবিরতি পালন করেন ইবি কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা।
কর্মকর্তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কর্মঘণ্টা সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা, কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীত করা এবং উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতনের স্কেল চতুর্থ গ্রেডে এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের বেতন স্কেল ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়ে আসা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫ হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন কমকর্তারা। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। এতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ফলাফল ও চাকরির সময়ের উপরে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়।
এতে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী এই বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হওয়া ২৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় সকলের জন্য একই স্কেল নির্ধারণ করা হয়। এদিকে সম্প্রতি দেওয়া বেতন স্কেলের নীতিমালায় সহকারী রেজিস্ট্রার হওয়ার ছয় বছর ও উপ-রেজিস্ট্রার হওয়ার পাঁচ বছর পর স্কেল কার্যকর হওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। ফলে এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এবিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আমরা ছাত্রদের জন্য। সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রেখে ছাত্রদের স্বার্থ কোনো কিছুই সংরক্ষিত হচ্ছে না। অথচ কতগুলো কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর চাকরির বয়স সীমার ক্ষেত্রে নতুন করে ৬২ বছর করতে হবে না, সিন্ডিকেটে তা করাই আছে শুধু বাস্তবায়ন করতে হবে। পূর্বের প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল, এখন স্থগিতাদেশ তুলে দিতে হবে। বেতন স্কেলের ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্ত পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটা আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় বেতন স্কেল চাচ্ছি। আমাদের দাবিগুলো আমরা স্মারকলিপির মাধ্যমে উপাচার্যকে জানিয়েছি। উপাচার্য আমাদের বলেছেন তিনি বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল এর বিষয়ে সরকারি আইন কানুন কি আছে এটা আমাদের দেখতে হবে।
কর্মঘণ্টা কমানোর দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য, আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশাসন শুধুমাত্র সহায়তাকারী। এ জন্য এবিষয়ে আমরা সকল স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিব।