আবু সাইদ,সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার ভোমরায় ১ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ভোমরা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রোববার ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণের অভিযোগে ধর্ষিতা গৃহবধু ৫জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করে। পুলিশ আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছে। আদালত আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবু রায়হান (২৫) ও একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আবু আলম (৩৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান জানান, দেবহাটার বহেরা এলাকার এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধু ভোমরায় পেয়াজের আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন। কাজের সুবিধার্তে তিনি ভোমরা স্থলবন্দরের বাবু মার্কেট এলাকায় বাসা ভাড়া করে ছেলে নিয়ে থাকতেন। লক্ষীদাড়ি গ্রামের আফজাল হোসেনও ওই আড়তে কাজ করতেন । আফজাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। গৃহবধু তার কুপ্রস্তাব এড়িয়ে চলতেন। গত রোববার রাতে ছেলে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে গৃহবধুর বাসায় ঢুকে আফজাল তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া তিনি গোপনে ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করেন। লোকলজ্জার ভয়ে চিৎকার চেচামেচি করা থেকে বিরত থাকেন তিনি। ঘন্টা দুয়েক পরে আফজাল তার ৪ বন্ধুকে নিয়ে বাসায় ঢোকে । তার বন্ধুরা মোবাইলে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে তাকে আবারও ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গৃহবধু সাতক্ষীরা সদর থানায় ৫ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৩, তাং- ২০/০২/২০২২। গ্রেপ্তার রায়হান ও আলম ছাড়াও অপর তিন আসামী হলেন,লক্ষীদাড়ি গ্রামের আফজাল হোসেন,মাসুদুল আলম ও আশিক রহমান। সাতক্ষীরা আদালত পরিদর্শক মাহবুব হোসেন জানান,গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয়কে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। সদর থানার ওসি গোলাম কবীর জানান, মামলার অপর ৩ আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …