রাকিব হোসেন , গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
স্নিগ্ধ শীতের সকালে বা পড়ন্ত দুপুর কিংবা আবছায়ার গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে সবারই ভালো লাগে! আর এ ভাল লাগায় শুধু এক প্রকার নয় যদি থাকে হরেক রকমের পিঠার আয়োজন তাহলে তো কোন কথাই নেই।
আজ বুধবার (০৯ মার্চ) সকালে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের এমন আয়োজন ছিলো গোপালগঞ্জ জেলা শহরের অন্যতম প্রধান প্রাথমিক বিদ্যাপীঠ এসএম মডেল সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে। বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বর্ণিল এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। হরেক রকমের পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো বিদ্যালয়।
এর আগে ফিতা কেটে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম মিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমুন নাহার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুকুমার মিত্র, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম বক্তব্য রাখেন।
পরে অতিথিবৃন্দ পিঠা স্টল ঘুরে দেখেন। আয়োজন করা হয় চিতই, ভাপা, পাটি সাপটা, তাল পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার সমাহার। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে বেশ খুশি। পরে ছোট ছোট শিশুদের নৃত্য-গান পরিবেশনায় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমুন নাহার বলেন, পিঠা উৎসব আমাদের সংস্কৃতির সাথে জড়িত রয়েছে। কালেরক্রমে এখন তা হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেও আমরা পুরোপুরো বাঙ্গালি হয়ে উঠবো।
এস এম মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম মিটু বলেন, দিন দিন আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট শিশুদের মাঝে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ছোট ছোট শিশুদের রংই আমাদের রাঙ্গিয়ে দেবে। আমাদের স্বপ্ন হোক শিশুরা যেন প্রতিদিন রঙ্গিন হয়ে উঠে। পিঠা উৎসব বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের সাথে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উৎসব। বসন্তের সাথে এ উৎসবটি পরিপূর্নতা এনে দিয়েছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখতে প্রতি বছর এমন আয়োজন করা উচিত আমাদের।