নারী গাঁথা – বিলাল মাহিনী

 

নারী! হিম সইতে জানে, পারে তপ্ত খরায় পুড়তে
খরস্রোতা নদীর মতো নারী পারে বাঁধ ভাঙতে
সুশীতল বটের ছায়া দিতে পারে, পারে ঘুম পাড়ানি গানও শোনাতে,
রৌদ্রক্লান্ত পথিককে দিতে পারে হাত পাখার শীতল বাতাস
ঢালতে পারে মেঘের কলস
মাধবকুণ্ডের ঝর্ণা
সইতে পারে নিদারুণ ক্লেশ ঘৃণা অপমান
নারী! প্রেম দিয়ে যুদ্ধ জয়ে সাহস যুগাতে পারে
জানে শত্রুর বক্ষ চিরে ছন্নছাড়া পথিক করে দিতে।

নারী! স্বর্গের হুর,
হুরের নূর
নারীর হাতে না জ্বললে বাতি মানব গৃহে
পুরুষের কর্ম-প্রেরণা না জাগে মন কিংবা দেহে।
নরী বিনে দিলের ব্যাথা- হয় নাকো কারো দূর
নারীই প্রেমিকা নারীই সেবিকা নারীই ধরণীর হুর।

নারী! আমার মা, আমার প্রেরণা
সেই-ই আমার বোন
আদর-স্নেহ দুষ্টুমি যতো– সেই-ই আমার ধন
নারী! চির সহযোদ্ধা সহধর্মিণী প্রিয় অর্ধাঙ্গিনী
প্রিয়তমা লক্ষী পক্ষী আমার সঙ্গিনী।

নারী! ফুলে ফুলে ভরে রাখে ঘর-
বাহির আঙিনা,
ধোঁয়ার আঘাতে অশ্রু ঝরায়
ধৈর্য্যরে করে সাথী শত ফুলোমালা গাঁথি
করে যায় সাধনা।

ইতিহাসে নারী- লাইলি শিরি রাঁধা নাম নিয়ে
লিখে গেছে লাখো কাব্য শত গদ্য,
নারী ছাড়া কভু জন্মেনি কোথাও
সুখ বিষাদ ভরা পদ্য।
সমাজ-সংসারে নারীরা শিকড়
একথা মানো দিলের ভিতর
নারী! কেনো আজো ঘরের কোণেতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে
না খেয়ে মরে দাদা বাবুরা, যদি বৌদি নাহি রাঁধে।
পুরুষ শাসিত শোষণ সমাজে এখনো কেনো দাদারা-ই শ্রেষ্ঠ? বৌদিরা থাকে ঘরে,
মিনতি আজি! আর নয় দাদা-
ছেড়ে দাও সব ক্ষমতা-যুলুম, অসীম সুখের তরে।

Check Also

সুন্দরবনে পরিবারের সঙ্গ: কাইয়ুম রাজের আনন্দঘন ভ্রমণ

আমি এবিএম কাইয়ুম রাজ। এবারের ঈদে আমি নানুবাড়ি গিয়েছিলাম। ঈদের আনন্দ পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।