মসজিদের নাম পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ শহরের রাখুয়াইল এলাকায় নরসুন্দা নদীর মাঝপথে প্রবাহিত নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ঐতিহাসিক এ মসজিদ অবস্থিত।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স (লোহার সিন্দুক) খুলে মিলেছে ১৫ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ-রৌপ্যলঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রা।
প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খোলার রেওয়াজ থাকলেও করোনার কারণে ৪ মাস ৬ দিন পর আজ সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে।
এ টাকা গণনার কাজে রূপালী ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা, এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
দুপুর একটা পর্যন্ত দুই কোটিরও বেশি টাকা গণনা করা হয়েছে। পুরো টাকা-পয়সা ও অন্যান্য সম্পদ গণনা এবং মূল্যমান নির্ণয় করতে বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা বেজে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এর আগে সর্বশেষ ৬ নভেম্বর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। তখন রেকর্ড ৩ কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, এবার দানের টাকার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, ওই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে প্রতিদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন বয়সের শত শত নারী-পুরুষ এখানে দান ও মানত নিয়ে এসে থাকে। আর এ ইতিহাস আড়াইশ’ বছরের বেশি সময়ের।
পাগলা মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, দানের টাকা মসজিদ কমপ্লেক্সের উন্নয়নসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানার উন্নয়নের পাশাপাশি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী এবং দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত দুস্তদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়ে থাকে।