গানবাংলা’ টিভির কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নি দম্পতির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন।
রাজধানীর একশ ফিট এলাকার শেফ টেবিল কনভেনশন হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢালিউড নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেখানেই সানি লিওনের সঙ্গে দেখা হয় দিঘীর। সানি লিওনের সঙ্গে ফেসবুকে একটি সেলফিও পোস্ট করেছেন দিঘী। ওই অনুষ্ঠানে সানি লিওনের সঙ্গে দিঘী নেচেছেন বলেও জানা গেছে।
এদিকে, প্রায় ১৯ ঘণ্টা অবস্থান শেষে রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন সানি লিওন।
বিয়ের নিমন্ত্রণেই শনিবার বিকালে ব্যক্তিগত বিমানে ঢাকায় আসেন সানি। ঢাকার মাটিতে পা রেখেই এদিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, সুন্দর এই দেশে এসে আমি অনেক খুশি। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন— বাংলাদেশ, ঢাকা, পার্টিটাইম। তার এই স্ট্যাটাসের পর পরই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়।
ঢাকায় আসার পর সানি লিওন সোজা চলে যান গানবাংলা টিভির কার্যালয়ে। সেখানে তাকে বরণ করে নেন সংগীতশিল্পী ও গানবাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস।
সানির সঙ্গে এই সফরে আরও এসেছিলেন ভারতের সংগীতশিল্পী কৈলাশ খের, নারগিস ফাখরি, নুশরাত জাহান, যশ, মিমি চক্রবর্তী। রোববার বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাতিয়ে রাখেন কৈলাশ খের। এ সময় নাচে অংশ নেন সানি লিওন ও নারগিস ফাখরি।
সেই জমকালো অনুষ্ঠানের কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে।
সেখানে চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা ফাতিমা তুজ জাহরা ঐশীর ‘দুষ্টু পোলাপাইন’ গানে নাচতে দেখা গেছে সানি লিওন ও নারগিস ফাখরিকে। আশপাশে উপস্থিত সবাই নায়িকার সঙ্গে নেচেছেন।
বাংলাদেশি শিল্পীদের মধ্যে তাপসের গাওয়া গানে প্রথমবার মডেলও হয়েছিলেন সানি লিওন ও নারগিস ফাখরি। তখন থেকেই বলিউডের এ দুই তারকার সঙ্গে সখ্যতা তাপস-মুন্নির।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সানি লিওনকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হলেও গত ৯ মার্চ আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সেই অনুমতি বাতিল হয়।
এর পরও তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। ‘নিষেধাজ্ঞা’ সত্ত্বেও কীভাবে বাংলাদেশে এলেন সানি লিওন সে প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিউটি অফিসার মো. খায়রুল গণমাধ্যমকে বলেন, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন সানি লিওন। তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা ছিল না। তিনি আমেরিকার নাগরিক হিসেবে এসেছেন। তার কাছে বৈধ ভিসা ছিল। সব কাগজপত্র ঠিক থাকায় এ অভিনেত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
তবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও তার শুটিং করতে মানা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।