জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১২ শিক্ষার্থীকে শিবিরের কর্মী সন্দেহে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরে আদালতে পাঠালে ওই শিক্ষার্থীদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। রিমান্ডে তারা আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আজ শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি জানান, অভিযানে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিবির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—২০১৭-১৮ সেশনের (১৩ তম ব্যাচ) সংগীত বিভাগের আল-মামুন রিপন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান, ২০১৮-১৯ সেশনের (১৪ ব্যাচ) লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, ২০১৯-২০ সেশনের (১৫ ব্যাচ) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান ও ওবাইদুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমান (অলি), ২০২০-২১ সেশনের (১৬ তম ব্যাচ) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রওসন উল ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের শ্রাবন ইসলাম রাহাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলায় একটি মেস থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়। তাঁদেরকে আদালতে চালান করা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এনটিভি জানান, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমরা বলেছি, কেউ নির্দোষ হলে, সে যেন হয়রানির শিকার না হয়।’