বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
রোববার পাকিস্তানের সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় টিভিতে জাতির উদ্দেশে বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ইতোমধ্যে আমি রাষ্ট্রপতির কাছে বার্তা পাঠিয়েছি যে, অ্যাসেম্বলি (জাতীয় সংসদ) ভেঙে দিন। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি। জনগণ যার পক্ষে রায় দেবে তাকেই সবাই মেনে নেবে। বিদেশী কারো উসকানিতে নয়।
ইমরান খানের প্রস্তাবের পরই পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভি।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পরই রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবনা পেয়েছেন, যা তিনি অনুমোদন করেন, ফলে জাতীয় পরিষদ এখন সাংবিধানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি।
রোববার অনাস্থা প্রস্তাবটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের করা আগের দাবিগুলোর কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল।
বক্তব্যে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত ৭ মার্চ আমাদের রাষ্ট্রদূতকে একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যেখানে অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনার একদিন আগেই এই ঘটনা ঘটেছিল।