সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর:
নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের সি আর এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বয়স ২২(বাইশ) বছর হলেও সেখানে নেই কোনো ইটের তৈরী ভবন। চাকই, রুখালী, মধুরগাতি তিন গ্রামের নাম জড়িত এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে। অনেক চেষ্টা তদবির করে ২০১২ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। এমপিও এই প্রতিষ্ঠানের জন্য যেন স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসছে না কেউ। বিগত ২২ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে অনেকেই কাজ করে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। সমাজের মানুষের সামনে শুধুমাত্র এই পরিচয় দিতে যে, আমি একজন কর্মরত শিক্ষক। নিজের কাছে নিজের পরিচয় গোপন করে স্বেচ্ছাসেবা করে চলেছেন তারা। স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরই ফলাফলে সফলতা দেখিয়ে চলেছে এলাকাবাসীকে। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাশ, টিন আর কাঠ দিয়ে তৈরি ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার নির্মাণ করে চলা শ্রেণি কার্যক্রম এবার আর চালানোর মত নেই। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত মন্দিরের বারান্দায় রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষা গ্রহণ করছে। শ্রেণির সংখ্যার তুলনায় প্রয়োজনীয় পরিমান শ্রেণিকক্ষ না থাকায় বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত যিনি বর্তমানে আছেন তিনি জানালেন, শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের এই কষ্ট সহ্য হয় না। যদি এলাকার বিদ্যানুরাগী সামাজিক ব্যক্তিত্ব অথবা প্রতিষ্ঠান এই কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে চেয়ে একটি ভবনের ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে হয়তো হাসিমুখে স্বাচ্ছন্দ্যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারতো তারা। নেই পর্যাপ্ত বসার বেঞ্চ, মাঠে অথবা মাটিতে বসেই চলে শ্রণি কার্যক্রম। এলাকাবাসীর দাবি প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা একটু ভাবা উচিত সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।