শাহীন আলম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গুচ্ছ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থের অপচয় বলে অভিমত শিক্ষকদের।
রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনস্থ শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষক নেতারা। এসময় ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক জরুরি মিটিংয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরেও যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় তাহলে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। পছন্দমত বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এতে এক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলে তারা প্রথম ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন টাকা ফেরত পায়নি। ফলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষকদের মানষিক চাপের পাশাপাশি সময় এবং অর্থের অপচয় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা একটি মারাত্মক সমস্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সাত থেকে আটবার ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করেও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কিছু পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলেও পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে এর চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষকদের দাবিগুলোর একটা চিঠি হাতে পেয়েছি। আমাদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত মিটিং আছে। সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তুলে ধরবো। মূলত শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এটাই আমার প্রধান লক্ষ্য।