পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আজ সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। শনিবার মধ্যরাতে ইমরান খানের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই নতুন সরকার নির্ধারণের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আয়াজ সাদিকের ঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গতকাল রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমার সময় নির্ধারিত ছিল। বেলা ৩টা পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করা হয়। পরিবর্তিত সূচিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আজ বেলা ২টায়। সেই অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ ও সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্র্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফই। তবে পিটিআই নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন, সোমবার জাতীয় পরিষদ থেকে তাদের দলের আইণপ্রণেতারা পদত্যাগ করবেন। শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্য রাতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের পার্লামেন্টের ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেন। খবর ডন, জিয়ো নিউজ, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, রয়টার্সের।
এ দিকে বিরোধী নেতা শহীদ খাকান আব্বাসি, সৈয়দ নাভিদ কামার, খুরশিদ আহমেদ শাহ, মহসিন দাওয়ার এবং অন্যদের সাথে নিয়ে জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শাহবাজ শরিফ। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরপর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শাহবাজ শরিফ বলেন, জাতীয় সম্প্রীতিই হবে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করে জনগণকে স্বস্তি দেয়া হবে। পিএমএল-এনের এই নেতা বলেছেন, বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর তিনি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তিনি বলেন, তারা একটি নতুন যুগের সূচনা এবং দেশে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতির প্রচার করবে। পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে শাহবাজ শরিফ বলেন, তারা ভারতের সাথে শান্তি চায়, কিন্তু কাশ্মির সমস্যার সমাধান ছাড়া তা সম্ভব নয়। তিনবারের সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শাহবাজ শরিফ বলেন, মামলা আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছেড়েছেন ইমরান : স্পিকার আসাদ কায়সারের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগ করেছেন ইমরান খান। আসাদ কায়সার জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে পিএমএল-এনের আয়াজ সাদিকের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করার পর এটি স্পষ্ট হয় যে ইমরান খান অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হারবেন। আর হারলেই পিটিআই নেতা ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়তে হবে। পিটিআইয়ের সিনেটর ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরকারি বাসভবন থেকে তিনি বিদায় জানিয়েছেন। পিটিআই নেতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বানিগালায় তার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
অ্যাটর্নি জেনারেলেরও পদত্যাগ : শনিবার মধ্য রাতে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল খালিদ জাভেদ। ওই রাতেই তিনি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এর আগে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার সময় খালিদ জাভেদ বলেছেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আমি পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এ জন্য আমি সম্মানিত বোধ করছি।
অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে মানা : পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মীদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যেসব সরকারি কর্মকর্তা এনওসি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তাদের ঠেকাতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র বা এনওসি ছাড়া দেশত্যাগ করতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির সিকিউরিটি অ্যান্ড ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এই নির্দেশনা দিয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনীকেও সতর্ক রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বিদেশগামী যাত্রীদের তল্লাশি। এফআইএ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন, এনওসি ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে তারা নির্দেশনা পেয়েছেন।
প্রতিশোধ না নেয়ার অঙ্গীকার শাহবাজের : ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফ বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ নেবো না। অনাস্থা ভোটে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা আমরা সারিয়ে তুলতে চাই। আমরা কারো বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবো না। আমি, বিলাওয়াল বা মাওলানা ফজলুর রেহমান আইনের শাসনে হস্তক্ষেপ করব না। আইন সমুন্নত থাকবে। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকবে। ওদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, আমরা ইতিহাস রচনা করেছি। আবারো প্রমাণ হলো পাকিস্তান সংবিধান ও আইন অনুযায়ী চলে। তিনি আরো বলেন, এটিই প্রথম যে দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন।
সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার গুজব : বিবিসি উর্দুর খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে মরিয়া ছিলেন ইমরান। নাম প্রকাশ না হলেও সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে সেই কর্মকর্তা সেনাপ্রধান বাজওয়া। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানো যখন সময়ের অপেক্ষা, সে সময় ইমরান খান মরিয়া হয়ে এমন একটি চেষ্টা করেছিলেন, যা হতে পারত যুগান্তকারী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরানের শেষ আদেশ কার্যকর হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি উর্দু জানিয়েছে, পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে দেশটির সেনাপ্রধান জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্তের আদেশ জারি করেছিলেন ইমরান। তার আশা ছিল, এ কাজটি সরকারপ্রধান হিসেবে এই যাত্রায় টিকে যেতে সহায়তা করবে। কিন্তু সেটি হয়নি। আর ইমরানের আদেশ প্রজ্ঞাপন আকারেই জারি হয়নি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান সাবেক ক্রিকেটার।
ডিজিটাল মিডিয়া প্রধানের বাড়িতে অভিযান : ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার ডিজিটাল মিডিয়ায় নেতৃত্ব দেয়া ড. আরসালান খালিদের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। ইমরানের দল পিটিআই এ অভিযোগ করেছে। পিটিআইয়ের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, ইমরান খানের ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করা সাবেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় তার পরিবারের কাছ থেকে সব মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে। ইমরান খানের পক্ষে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করতেন আরসালান খালিদ। এর আগে তিনি পিটিআইয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু-টুইটে ইমরান : প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন ইমরান খান। গতকাল এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলো। দেশের জনগণ যারা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করে তাদের পাশে পিটিআই ছিল বলেও জানান তিনি। এর আগে বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করার কথা জানায় পিটিআই। এরপরই ইমরান খানের এমন বক্তব্য এলো।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নাকচ যুক্তরাষ্ট্রের : প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেয়া ইমরান খান আগে কয়েকবার বলেছেন, তার স্বাধীন বৈদেশিক নীতি ‘বিদেশী শক্তিদের’ নাখোশ করেছে। আর এসব শক্তিই তার বিরোধীদের অর্থ দিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে সহযোগিতা করেছে। গত শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইমরান খান তার ষড়যন্ত্রতত্ত্ব আবার তুলে ধরেন। সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার হুমকির বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, এ অভিযোগ ‘একেবারেই সত্য নয়’। শুক্রবার সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জেলিনা পোর্টারের কাছে ইমরানের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে পোর্টার বলেন, ‘আমি আবার নির্দ্বিধায় বলছি, এই অভিযোগের পেছনে কোনো সত্য নেই।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ঘটনার অগ্রগতির দিকে নজর রাখছি। কারণ আমরা পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সমর্থনও করি।’
কেমন হবেন ইমরানের উত্তরসূরি : ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আগেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কথা হচ্ছিল। প্রথমেই আসে শাহবাজ শরিফের নাম। পাকিস্তানের বাইরে খুব একটা পরিচিতি না থাকলেও দেশে দক্ষ একজন প্রশাসক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রধান বিরোধী দল। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার পতনে সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন শাহবাজ। আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল এই জোটের দলগুলোই।
পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে বেইজিং অর্থায়নকৃত প্রকল্পগুলো নিয়ে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন তিনি। প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে তার প্রশংসা রয়েছে ব্যাপকভাবে। রাজনীতিতে অনেকটা সময় নিজের অবস্থান জানান দিয়ে আসছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শাহবাজ শরিফকে কারারুদ্ধ করা এবং সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়। পরবর্তী ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসেন এই রাজনীতিক। ২০১৭-তে পানামা পেপারসকাণ্ডে বিপাকে পড়েন তার বড় ভাই নওয়াজ শরিফ। সম্পদ গোপনের অভিযোগ ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হন নওয়াজ। সেই সময় মুসলিম লিগের দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতিতে সামনের দিকে আসেন ছোট ভাই শাহবাজ।
চ্যালেঞ্জ নতুন সরকারের সামনে : ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তান দলকে বলা হয়ে থাকে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’। খেলায় কখন কী করে বসে অনুমান করাটাই মুশকিল। এখন পাকিস্তানে রাজনীতির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই দাঁড়িয়েছে। শনিবার দিনভর জাতীয় পরিষদে অধিবেশ চলার পর মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটাভুটিতে বিদায় নিতে হলো জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আবারো নতুন মোড় নিলো। ইমরান খানের উত্তরসূরি যিনিই হোন না কেন, ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটিকে নেতৃত্বে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ এবং সাবেক মিত্রদের সাথে নড়বড়ে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করাটা পরবর্তী প্রশাসনের এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিরতা শিগগিরই থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকার পতনের কিছু দিন আগে থেকেই এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। দাম হারাচ্ছে পাকিস্তানি মুদ্রা রুপি। গত বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে রূপির দাম কমে নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। এক ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ১৮৮ রুপি। পাকিস্তানের ইতিহাসে কখনো রুপির দাম এতটা নামতে দেখা যায়নি।
Check Also
সাতক্ষীরা পৌর ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমীরের শপথ
মাসুদ রানা, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার পৌর ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর …