‘সাগর বনানী মধুপ কুজনে সাতক্ষীরা মোহময়, পথিক সুজনে ডাকে নিরজনে প্রাণের বারতা কয়।’ এমনই প্রাণের বারতা শোনার আকাক্সক্ষা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। এসেছিলেন বনানীর কোলে বসবাসরত উপকূলবাসির দু:খ-সুখের কথা শুনতে। সবুজে শ্যামলে ঢাকা নদীখাল ঘেরা সুন্দরবনের অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দেখে নিজেই অভিভূত হলেন। সুন্দরবন জনপদের পেশাজীবী সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করতে গিয়েই বললেন, হাউ আর ইউ ? জবাব আসলো, উই আর ফাইন। এভাবেই স্মিত হাসি নিয়ে দক্ষিণ উপকূলের দূর্যোগ কবলিত ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির শিকার হওয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের গ্রাম কুলতলিতে সবার সাথে কথা বলে সময় কাটালেন ডেনমার্কের প্রিন্সেস ম্যারি এলিজাবেথ। সুন্দরবনের চুনা নদীর তীরে কুলতলি গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া নারী পুরুষ তাকে স্বাগত জানিয়ে হাসিমুখে বরণ করেন নেন। এসময় প্রিন্সেস ম্যারি কিছুক্ষণের জন্য আড্ডা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন স্কুলগামী শিশুদের সাথেও। তিনি পুষ্পা রানী মন্ডল ও শিলা রানী মন্ডলের বাড়িতেও কয়েক মিনিটের জন্য অতিথি হন। স্থানীয় খননকৃত একটি খাল পরিদর্শন করে ওই খালের পানিসেচ নিয়ে ধান ও শাকসবজিতে ভরে ওঠা ফসলি ক্ষেতও পরিদর্শন করেন তিনি। গ্রামীন নারীরা তাকে পেয়ে অত্যন্ত খুশী হন। তারা তার সাথে দূর্যোগের সময় কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তার বিবরন দিয়ে সুপেয় পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন।
কলাগাছিয়ায় যাতায়াতের পথে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে তিনি অভিভূত হন। এর আগে তিনি দাতিনাখালিতে একটি বেড়িবাঁধ ভাঙন ও তার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
Check Also
তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ
মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি …