শক্তি বাড়িয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের দিকে এগিয়ে আসছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। তবে ‘অশনি’র বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা এখন পর্যন্ত নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সোমবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অশনি’র আঘাত হানান আশঙ্কা না থাকলেও এটি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন-৮ অনুযায়ী, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আবহাওয়াবিদ এবং আন্তর্জাতিক আবহাওয়া অফিস ধারণা করছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী বৃহস্পতিবার সকালে বিশাখাপট্টনম, ভুবনেশ্বর, পশ্চিমবঙ্গ স্পর্শ করে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ‘অশনি’র প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হবে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না বলেই মনে হয়।
এনামুর রহমান আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় যেকোনো সময় যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। এখন এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি যদি মোড় নিয়ে উত্তর দিকে ধাবিত হয়, তাহলে আমাদের দেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১০ মে সন্ধ্যায় অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘অশনি’। তারপর সামান্য বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগোবে এই ঘূর্ণিঝড়।
অশনি এখন শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বিশাখাপত্তনমের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পুরী থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।