আবু সাইদ বিশ্বাসঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় সাবেক স্বামীর দেওয়া পেট্রলের আগুনে দগ্ধ সেই তরুণী তামান্না খাতুন মারা গেছেন। সোমবার (৯ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তামান্না।
মঙ্গলবার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ‘পেট্রলের আগুনে দগ্ধ মেয়েটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কৃষ্ণ সেখানে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তিনিও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তরুণীর বর্তমান স্বামী ফরহাদ হোসেনও দগ্ধ অবস্থায় একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
আগুন দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রেমিক মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন নিজের গায়েও পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে মরবেন বলে তরুণীকে জড়িয়ে ধরেন। তখন তিন জনই কমবেশি দগ্ধ হন। এ মামলায় অপর এক আসামি পাটকেলঘাটার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল আলালের ছেলে শেখ তুহিন হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
জানা গেছে, গৃহবধূ তামান্না খাতুন পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে। গত ৫ মে সন্ধ্যায় বাড়ির পেছনে কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে বসে থাকা অবস্থায় স্বামীসহ ওই তরুণীকে পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেন। এরপর থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় তরুণীর বাবা আব্দুল হক পাটকেলঘাটা থানায় সাদ্দাম হোসেনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। প্রধান অভিযুক্ত সাদ্দাম কলারোয়া উপজেলার তুলসিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
তামান্নার মামা সাতক্ষীরা সদরের বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘তামান্না চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা গেছেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’