“জগৎ” মাত্রই “আমি’র জগৎ”। “আমি’র জগৎ” কেই আমি সহ সবাই “জগৎ” বলে চিনে; “আমি’র জগৎ” আর বলে না। সে যাই হোক।
জগৎ একটা না। সবাই নিজের গড়া আলাদা আলাদা জগতে বাস করে। এই প্রতিটি আলাদা আলাদা জগতকে যদি একেকটি বৃত্তাকৃতি হিসেবে কল্পনা করি, তাহলে কোটি কোটি এই বৃত্তের স্রোতের কারণে প্রতিটি বৃত্ত প্রতিটি বৃত্তের কমন বৃত্তচাপ গুলোতে যখন মিলে যায় তখন এই মিল থাকার টানে প্রতিটি বৃত্ত একে অপরের মধ্যে ওই কমন বৃত্তচাপ গুলোর মধ্য দিয়ে কিছুটা ঢুকে যায় তথা মিলে যায়। ফলে অনেকগুলো মিলনস্থল তৈরি হয় বৃত্তের। মানুষ এই মিলনস্থলেই বসবাস করতে সবচেয়ে বেশি মেতে থাকে / হারিয়ে যায়।
সমস্ত “আমি’র জগৎ” থেকে যেনো “আমি’র” কমন নেওয়া হয়েছে; রয়ে গেছে শুধু যে জগৎ, “আমি’র” ডিটাচ করে সেই জগতে মেতেছে / হারিয়েছে মানুষ। ছোটবেলায় ওস্তাদরা প্রায়ই এই উদাহরণটা দিতো যে, “কলের মুখ বরাবর কলসি না রেখে একটু সরিয়ে রাখা হলে শত চেষ্টাতেও পানি ভরবে না; বরং পানির কিছু ছিটা পেয়ে কলসি মনে করবে পানি পেয়ে গেছি!” তৃষ্ণার্তের কাছে তো জলের ছিটাও কতো কলসি পানি।
“আমি” কে পরিবর্তনের বিশুদ্ধ স্পৃহা তাহলে আসবে কোত্থেকে? যখন কিনা সে “আমি’র জগৎ” -এ না চলে “আমি’র জগৎ” কে শুধু “জগৎ” বানিয়ে চলে, যখন কিনা “জগৎ” থেকে “আমি” কে ডিটাচ করে চলে। আর তখনই সে ওই ভ্রম: “শুধু যেই জগৎ”, তা সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। “আমি’র” সামাল দিবে দূরে থাক; বরং “আমি” কে তালাবদ্ধ অবস্থা করে তারপর আসে, যেনো জগৎ সামাল দেওয়ার কালে “আমি” এসে তাকে অসুবিধা না করে।
লেখকঃ শিক্ষার্থী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।