সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সনদবিহীন প্রাইভেট হাসপাতালে অবৈধভাবে গর্ভপাত করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে সাবিনা খাতুন (২৭) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোররাতে উপজেলা সদরে পল্লী প্রাইভেট হাসপাতালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়েছে। প্রসুতি ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রসূতির মা হালিমা খাতুন এবং বোন শিরিনাকে হেফাজতে নিয়েছে। ওই প্রসুতি উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে পার্শ্বেখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাছ ব্যবসার কাজে তিনি সাভারে থাকেন। তাদের ভিতরে পারিবারিক কলহ চলছিলো। স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। বাড়ি না থাকার সুযোগে শ্বশুড় শাশুড়ি ও শ্যালক ভুলি বুঝিয়ে তার স্ত্রীকে জোর করে ক্লিনিকে অবৈধভাবে গর্ভপাত করিয়েছে। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। দাম্পত্ব জীবনে তাদের ইয়াছিন নামে এক পুত্র সন্তান আছে।
হাসপাতাল মালিক হাতুড়ে ডাক্তার স্বপন গাঙ্গুলির সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …