ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে বলে মনে করেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সিপিএমের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমান বসু।
সম্প্রতি বাংলাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার। তার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিমান বসু এমন মন্তব্য করেন।
ঢাকা থেকে ফোনে পিওবিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিমান বসু বলেন, “শেখ মুজিবের ঘাতকরাও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে অপরাধ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়াটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। শেখ মুজিবের ঘাতকরা এখনও ভারতে থাকতে পারে কারণ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর একটি। অপরাধীরা মনে করে ভারতে পালিয়ে যেতে পারলে সেখানে কেউ তাদের খুঁজে পাবে না।”
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিমান বসু বলেন, “গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি, কুখ্যাত অপরাধীরা বাংলাদেশের আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত হওয়ার ভয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। পালানোটা একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীও ত্রিপুরা এবং আসামে লুকিয়ে আছে। এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।”
রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের মতো রাজ্যগুলোতে বাস করে। ভাষাগত মিল থাকায় অপরাধীরা সহজেই সেসব রাজ্যের মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। সন্ত্রাসী এবং ভালো মানুষের মধ্যে পার্থক্য করাটা খুবই কঠিন
আমি শুনেছি, বাংলাদেশের অনেক হিন্দু ভারতে ফ্ল্যাট ও জমি কিনেছে। তারা ভারতেও ব্যবসা শুরু করেছে। কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের আশেপাশে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের অনেক ফ্ল্যাট রয়েছে। এর জন্য আমি মমতার (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়) নেতৃত্বাধীন সরকারকে দায়ী করবো।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে বাংলাদেশিরা অনেক সুযোগ পেয়েছেন, এমন দাবি করে বিমান বসু বলেন, “আমি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলবো না। তবে বর্তমান বিজেপি সরকার সন্ত্রাস দমন ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সচেতন। অবৈধভাবে ভারতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ভারত সরকার সন্ত্রাসীদের ধরে (আইনের হাতে) তুলে দিয়েছে। কিন্তু মুজিবের ঘাতক যারা এখন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লন্ডনে লুকিয়ে আছে তাদের ফিরিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ।”