সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে ইসলাম ও ইসলামী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী দেশের ইসলামপ্রিয় জনতাকে উত্তেজিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তথাকথিত গণকমিশন নানা কল্পকাহিনী সাজিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামা ও মাদরাসা নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্র দেশের ইসলামী ও ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। অপসংস্কৃতির কারণে দেশের সর্বত্র আজ নৈতিক বিপক্ষয় ঘটছে। এথেকে জাতিকে রক্ষায় ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে আলেম উলামাগণ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ইসলামী বিদ্বেষী শক্তির সেটা সহ্য হচ্ছেনা। তাই তারা মানুষকে ধর্মবিমূখ করতে আলেম ও মাদরাসা নিয়ে বিষোধাগার করছে। জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে শে^তপত্র প্রকাশের অধিকার কথিত গণকমিশনের নেই। যা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী ও চরম ধৃষ্টতার শামিল। এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। অন্যথায় ধর্মপ্রাণ মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তথাকথিত গণকমিশনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে বাধ্য হবে।
তিনি মঙ্গলবার জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তথাকথিত গণকমিশন কর্তৃক দেশের শীর্ষ আলেম উলামাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নগরীতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট মহানগর জামায়াতের সহাকরী সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুর রবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা আলী হায়দার ও মু. আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন কঠিন সময়েও সরকার বিরোধী দল মত দমনে মত্ত হয়ে উঠেছে। সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, হয়রানী, মিথ্যা মামলা দিয়ে, কারাগারে আটক রেখে আবারো দেশে ভোট ডাকাতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা, হামলা, অপরাজনীতি বন্ধ করুন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করুন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্থান্তর করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুস্থ পরিবেশ তৈরি করুন। অন্যথায় এই সরকারকে শ্রীলংকার রাজা পাকসে সরকারের পরিণতি বরণ করতে হবে। তথাকথিত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইসলামপ্রিয় দেশপ্রেমিক জনগণকে নিরব বসে থাকলে চলবে না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে।