মোবাইল ফোনে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ প্রটোকল চেয়ে আটক হওয়া ভুয়া বিচারপতি পরিচয় দেওয়া বিপ্লব প্রধানকে (৪০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার বিকালে বিপ্লবকে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠায়। তার বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে সরকারি কর্মচারী পরিচয় দেওয়ার কারণে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল ফজল বলেন, বিপ্লব প্রধানের বিরুদ্ধে মতলব থানায় এ মামলার আগে দু’টি চেক ডিজঅনার মামলার ৩টি ওয়ারেন্ট ছিল। নতুন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবেও তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে মতলব পৌরসভার উত্তর দিঘলদী গ্রামের শমসের আলী প্রধানীয়ার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, শুক্রবার ঢাকা থেকে দাউদকান্দি হয়ে মতলবে আসার পথে আটককৃত বিপ্লব প্রধান জাতীয় সেবা নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশ প্রটোকল চান। এ সময় জাতীয় সেবাকেন্দ্র দাউদকান্দি পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে বিষয়টি অবগত করে।
দাউদকান্দি পুলিশ কন্ট্রোল রুম মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন মিয়াকে অবগত করেন এবং জানতে চান বিপ্লব নামে কোনো বিচারপতি আছেন কিনা। মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ খোঁজ নিতে বিপ্লবের বাড়িতে পৌঁছে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এ সময় বাড়ি থেকে প্রাইভেটকারসহ বিপ্লবকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃত বিপ্লব প্রধান উপজেলার দিঘলদী গ্রামের মৃত মাহবুব প্রধানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিজেকে ভুয়া বিচারপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।