মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকার মতো নয়। কারণ হিসেবে তিনি দেখান-বাংলাদেশে মাইক্রো ফিন্যান্স শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। চীনের প্রতি সামান্য নির্ভরশীলতা রয়েছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল। গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় বন্ধু ছিল, আগামীতে থাকবে।
পিটার হাস বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলো নিয়ে বলেন, সুশাসন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন দায়িত্ব পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সাম্প্রতিক সমীক্ষার উদাহরণ টেনে পিটার হাস বলেন, অবাধ গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে ঠিক পথে আছে, তা কিন্তু নয়; রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী ১৮২ দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪২তম। অর্থাৎ শীর্ষ তালিকার কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্র নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। একই সমীক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।
গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের ১০ ধাপ অবনতি হয়েছে।
পিটার হাস বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।